রোহিঙ্গা নয়, ধর্ষকদের নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনারা রোহিঙ্গাদের জন্য যে ভাসানচর ঠিক করেছেন, ওই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর দরকার নেই। ধর্ষকদের পাঠান। ধর্ষকদের সঙ্গে পাপিয়ার দলবলসহ পাঠিয়ে দেন। ওইখানে এরা নিরাপদে থাকুক। বাংলাদেশের মানুষও নিরাপদে থাকবে।
সরকারি চাল আত্মসাতের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বুধবার (৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির উদ্যোগে নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
আলাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে মনে করিয়ে দেই, ১৯৫৮ সালের এই দিনে ইস্কান্দার মির্জাকে সরিয়ে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করেছিলেন। আপনারা কি সেই দিকে যাচ্ছেন? ইয়াসমিনকে ধর্ষণ করেছিলেন কিছু দুষ্ট প্রকৃতির পুলিশ কনস্টেবল। তখন আপনারা সারাদেশে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আপনাদের হাজার হাজার নারীকর্মী রাস্তায় নেমে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। ইয়াসমিনের বিচার বেগম খালেদা জিয়া করেছে, বিএনপি করেছে। আজ আপনাদের নেতাকর্মীরা, কিছু পুলিশ ও কর্মকর্তারা ধর্ষণের মহোৎসব করছে। আমার মনে হয়, রোহিঙ্গাদের জন্য যে ভাসানচর ঠিক করা হয়েছে, ওই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পাঠানোর দরকার নেই, এই ধর্ষকদের পাঠান।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক সময়ে দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রায়ই কথায় কথায় বলেন, ছাড় দেয়া হবে না। আরে! কিসের ছাড়? এটা কি আরং-মিনা বাজার? যে যাবে ৫০%, ৭০% ডিসকাউন্ট ছাড় পাবে। আর কেন বলেন, প্রতিবাদ করার দরকার নেই, সরকার ব্যবস্থা করছে। প্রতিবাদ আপনারা করেন নাই? ব্যারিস্টার মইনুল ইসলাম কি একটা বলেছিল আপনার নারীকর্মীরা মাথায় গামছা বেঁধে রাস্তায় নেমে পড়েছিল। আজ কোথায় তারা? তাদের বিবেক নাই? তাদের সন্তান নাই? তাদের বোন-মেয়ে নাই? সবগুলোকে বগলের তলে নিয়েও বঙ্গভবনে শেষ আশ্রয়স্থল হবে না আপনাদের।’
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘অনেকেই এই কর্মসূচির কথা জানেন না। বিএনপির সকলেই যদি জানত, যদি অনুমতি আসে থাকতে পারবেন না। কথাটি মনে রাখবেন। এখনো সময় আছে, সিংহাসন ছেড়ে জনগণের প্রত্যাশা পাওয়ার চেষ্টা করুন। অন্যথায় আপনাদের পরিণতি হবে ইতিহাসের ভয়ঙ্কর ও নিকৃষ্টতম।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।