ঢাকা ১২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা Logo নলছিটিতে বিএনপির পক্ষে জনসংযোগ ও পথসভা করলেন এ্যাড. শাহাদাৎ হোসেন Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২

লালমনিরহাটে মুক্তিপণ না পেয়ে  অপহৃত শিশুকে হত্যা, আটক-৩

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / ১০৭৪ বার পড়া হয়েছে

লালমনিরহাটে মুক্তিপণ না পেয়ে  অপহৃত শিশুকে হত্যা, আটক-৩

ঈশাত জামান মুন্না/লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটে অপহরণের এক দিন পর সেপটিক ট্যাংকের নিচের মাটি খুঁড়ে শাকিল নামে ১০ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা শিশুকে হত্যার পর ওই এলাকার অন্য একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের নিচে পুঁতে রাখেন।

আজ মঙ্গলবার (১১মার্চ) বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী এলাকা থেকে শাকিলের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই এলাকার শফিকুল ইসলাম ও জয়নব দম্পতির ছেলে। শিশুটি স্থানীয় আনসারিয়া নুরানি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন একই গ্রামের সহিদুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী সাহানা বেগম ও ছেলে সোহান মিয়া।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাকিল তার নানা জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে থেকে পাশের আনসারিয়া নুরানি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। গতকাল সোমবার সকালে সে অপহৃত হয়। ওই দিন বিকেলে একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে শাকিলের মা জয়নবের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ তদন্ত নেমে একই এলাকার সহিদুল ও তাঁর ছেলে সোহানকে আটক করে।

দুপুরে সোহানের মা সাহানকেও আটক করে পুলিশ। পরে বিকেলে সোহানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের বাড়িসংলগ্ন কাঁচা সেফটিক ট্যাংকের নিচে পুঁতে রাখা শিক্ষার্থী শাকিলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর যৌথ দল। পরে লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাকিলকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শাকিলের পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মামলা হলে আটক ব্যক্তিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম ফজলল হক বলেন, ‘শিশু শাকিলকে অপহরণ ও হত্যা ঘটনায় এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটক সোহানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শাকিলকে অপহরণ ও হত্যার কারণ ও প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তার করতে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ট্যাগস :

লালমনিরহাটে মুক্তিপণ না পেয়ে  অপহৃত শিশুকে হত্যা, আটক-৩

আপডেট সময় : ০৩:৩৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

লালমনিরহাটে মুক্তিপণ না পেয়ে  অপহৃত শিশুকে হত্যা, আটক-৩

ঈশাত জামান মুন্না/লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটে অপহরণের এক দিন পর সেপটিক ট্যাংকের নিচের মাটি খুঁড়ে শাকিল নামে ১০ বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা শিশুকে হত্যার পর ওই এলাকার অন্য একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের নিচে পুঁতে রাখেন।

আজ মঙ্গলবার (১১মার্চ) বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী এলাকা থেকে শাকিলের লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই এলাকার শফিকুল ইসলাম ও জয়নব দম্পতির ছেলে। শিশুটি স্থানীয় আনসারিয়া নুরানি মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন একই গ্রামের সহিদুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী সাহানা বেগম ও ছেলে সোহান মিয়া।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাকিল তার নানা জয়নাল আবেদিনের বাড়িতে থেকে পাশের আনসারিয়া নুরানি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। গতকাল সোমবার সকালে সে অপহৃত হয়। ওই দিন বিকেলে একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে শাকিলের মা জয়নবের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ তদন্ত নেমে একই এলাকার সহিদুল ও তাঁর ছেলে সোহানকে আটক করে।

দুপুরে সোহানের মা সাহানকেও আটক করে পুলিশ। পরে বিকেলে সোহানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁদের বাড়িসংলগ্ন কাঁচা সেফটিক ট্যাংকের নিচে পুঁতে রাখা শিক্ষার্থী শাকিলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও সেনা বাহিনীর যৌথ দল। পরে লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরনবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাকিলকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শাকিলের পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। মামলা হলে আটক ব্যক্তিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

লালমনিরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম ফজলল হক বলেন, ‘শিশু শাকিলকে অপহরণ ও হত্যা ঘটনায় এরই মধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটক সোহানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শাকিলকে অপহরণ ও হত্যার কারণ ও প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তসহ গ্রেপ্তার করতে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।