লৌহজংয়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ পাননি মোঃ রেজাউল করীম
আ স ম আবু তালেব/লৌহজং প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ দীর্ঘ ৫৩ বছর যাবৎ স্বাধীন হয়েছে, এখনো অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সরকারি সহায়তা দূরের কথা যুদ্ধ করার সনদ পাননি, এমনই অভিযোগ করলেন মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলাস্থ কনকসারের নাগের বাড়ি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করীম (৭০)।
তিনি ২ নং সেক্টরের মেজর হায়দার আলীর তত্ত্বাবধানে ছিলেন। এরিয়া কমান্ডার মোঃ ইকবাল হোসেনের ১৫/১৬ জনের গ্রুপে থেকে বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধে অংশগ্রহণ ট্রেনিং। আগরতলায় তিন দিন ও কুমিল্লার কসবায় আরো দু’দিন ট্রেনিং নিয়ে লৌহজং চলে আসেন তিনি। তারপর ব্রাহ্মণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ দিন ট্রেনিং নিয়ে গোয়ালীমান্দ্রা খালে লঞ্চ দিয়ে আগত হানাদার বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।
কমান্ডার সোলেমান সর্বপ্রথম গুলি ছোড়েন হানাদার বাহিনীর উপর। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে ২৬ ঘন্টা তুমুল যুদ্ধ হয় হানাদার বাহিনীর সাথে। এতে ওদের করুন মৃত্যু ঘটে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করীম পেশায় ছিলেন ফটো গ্রাফার।
দেশ স্বাধীনের পর তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তিনি অস্ত্র জমা দিয়েছেন। যুদ্ধকালীন সময়ের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক হানাদারদের নির্মমতার অসংখ্য ছবি তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে জমা দেন। দূঃখজনক হলেও সত্যি এই বীর মুক্তিযোদ্ধা এতো বছর পরও মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পাননি।
মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করীম একান্ত স্বাক্ষাৎকারে দৈনিক আস্থাকে জানান, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জীবন বাজী রেখে অনেক যুদ্ধ করেছি। অত্যন্ত দূঃখের বিষয় আমি এখনো মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পাইনি। আমার মতো লৌহজংয়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তারা গেজেট পায়নি এমনকি সনদও পায়নি। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।