কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করতে গেলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাসের শেল গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। পাল্টা আক্রমণে শিক্ষার্থীরাও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে দুজন ক্যাম্পাস সাংবাদিকসহ প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী হয়েছেন।
আহত দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক আমাদের সময়ের কুবি প্রতিনিধি অনন মজুমদার ও চ্যানেল আইয়ের কুবি প্রতিনিধি সৌরভ সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই জাদুঘরসংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে এই সংঘর্ষ হয়। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে আন্দোলনকারীরা পুলিশের বাধা অতিক্রম করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুরুতে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হলেও ক্রমান্বয়ে সেটি হাতাহাতি থেকে ধাক্কাধাক্কিতে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করা শুরু করে। শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করতে গেলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। এর পরই শুরু হয় শিক্ষার্থীদের ওপর রাবার বুলেট ছোড়া ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ।
পরিস্থিতির এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা চারপাশ থেকে লাঠিসোঁটা জড়ো করে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে যায়।
পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানেও আশপাশের লোকজন লাঠিসোঁটাসহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করে। পুলিশকে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দেয় তারা।