জেলা প্রতনিধিঃ
জীবননগর উথলীর শিয়ালমারী পশুহাটে দীর্ঘদিন ধরে বাশের তৈরি ঝুড়ি, চাটাই, খাঁচা থেকে শুরু করে নানান রকম পণ্যের ব্যবসা করে আসছিলেন সুবল দাস ও আন্না দাসী। তার পাশেই জুলু হোসেনের চায়ের দোকান। বৃহস্পতিবার শিয়ালমারী পশুহাট বসে। যা এতদাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশুহাট হিসেবে পরিচিত। রাত পোহালে হাটবার। তাই আগের দিন দোকান ভর্তি মালামাল সাজিয়েছিলেন তারা। কিন্তু তাদের জীবন জীবিকার এই একমাত্র অবলম্বনে আঘাত হানলো সর্বনাশা আগুন। শুকনা পাতায় লাগানো আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হলো সব।
ঘটনাটি আজ বুধবার দুপুরের, চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার উথলী শিয়ালমারী পশু হাটের।
ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যান্য দিনের মতোই হাটের আগের দিন পর্যাপ্ত মালামাল দোকানে সাজিয়ে রেখেছিলেন তারা। দুপুরের দিকে কে বা কারা আশে পাশে ছড়িয়ে থাকা শুকনাপাতায় আগুন লাগিয়ে দেয়। সেখান থেকেই আগুন লাগে দোকানে। এসময় জীবননগর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে খবর দেয়া হলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে ততক্ষণে তিনটি দোকানের লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- জীবননগর উথলীর শ্রী ঝড়ু দাসের ছেলে সুবল দাস, অধীর দাসের স্ত্রী আন্না দাসী ও একতারপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে চা দোকানী জুলু হোসেন।