শুধু ঘুমের জন্যই সরকারি চাকরি ছাড়লেন সুনীল
স্টাফ রিপোর্টারঃ
শুধু ঘুমের জন্য সরকারি চাকরি ছাড়লেন সুনীল কুমার দে। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা জেলার রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ গ্রামে।
স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সুনীল কুমার দের সংসার। স্ত্রী তাপসী দাস গৃহিণী। ছেলে রজনীকান্ত দে ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেবে। আর মেয়ে প্রার্থনা রাণী দে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৬ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সিপাহী পদে চাকরিতে যোগদান করেন সুনীল কুমার দে। কিন্তু এ চাকরিতে রাতে সময় মতো ঘুমাতে পারতেন না। পরে উপ-পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেলে কাজের চাপ আরও বেড়ে যায়। ডিউটি শেষে অনেক সময় ঘুমাতে ঘুমাতে ভোর হয়ে যেত। ভোরে ঘুমিয়ে আবার ঘুম ভাঙতে গড়িয়ে যেত দুপুর। সেই থেকে তার অভ্যাস হয়ে যায় দুপুর পর্যন্ত ঘুমানোর। কিন্তু তার শান্তির ঘুমে বাগড়া দিত চাকরি। সময়ে-অসময়ে ডাক পড়ত ডিউটিতে যাওয়ার। এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেন চাকরি ছেড়ে দেওয়ার। তবে পরিবার ও স্বজনদের চাপে সেটিও করতে পারছিলেন না সুনীল কুমার দে।
সুনীল কুমারের স্ত্রী তাপসী দাস বলেন, আমার স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। দুপুর ১২টার আগে তার ঘুম ভাঙে না। যে কারণে তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন। বর্তমানে অবস্থা এমন হয়েছে যে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত না ঘুমালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সুনীল কুমার বলেন, ২০২৬ সাল পর্যন্ত আমার চাকরির মেয়াদ ছিল। কিন্তু এই ঘুমের কারণে চাকরিটা আর করতে পারলাম না। তাই ২০২১ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। পরে বাড়ির পাশে বানীবহ বাজারে ওষুধের দোকান দেন। এখন আর তার শান্তির ঘুমে বাগড়া দেয় না কেউই। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে এরপর দোকান খোলেন সে। এখন আর ডিউটির কোনো চাপ নেই। স্বাধীনভাবে ঘুমিয়ে তারপর দোকান খুলি।