টানা সাত মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর আজ থেকে চালু হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত ফ্লাইট। দু’দেশের মধ্যে তিন মাসের জন্য ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির অধীনে ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়। সপ্তাহে উভয় প্রান্ত থেকে মোট ৫৬টি ফ্লাইট চলবে। বুধবার সকালে ঢাকা থেকে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের উদ্দেশে একটি ফ্লাইট পরিচালনার মধ্যে দিয়ে বিমান চলাচল শুরু হয়। বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লি ও চেন্নাই থেকে ঢাকাগামী বিমান যাতায়াত শুরু হবে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতের কলকাতা, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে প্রতি সপ্তাহে ২৮টি ফ্লাইট চলবে। অন্যদিকে ভারত থেকেও ২৮টি ফ্লাইট ঢাকায় আসবে। বিমানে ওঠার আগে, দুই দেশের যাত্রীদের যাতায়াতে কোভিড নেগেটিভ টেস্টের সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার।
জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও নভো এয়ার পরিচালনা করবে ফ্লাইটগুলো। অপরদিকে ভারত থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করবে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারা ও গোএয়ার।
নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে, ক্ষুব্ধ সংসদীয় কমিটি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-দিল্লি, দিল্লি-ঢাকা, ঢাকা-কলকাতা ও কলকাতা-ঢাকা রুটে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-কলকাতা, কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-চেন্নাই, চেন্নাই-ঢাকা রুটে এবং নভোএয়ার ঢাকা-কলকাতা ও কলকাতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ভারতের স্পাইস জেট, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, গোএয়ার, ভিস্তারা এ ৬ এয়ারলাইন্স দিল্লি-কলকাতা-চেন্নাই-মুম্বাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
এরইমধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ভারতে ফ্লাইট চালানোর শিডিউল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত শিডিউল অনুযায়ী, ২৯ অক্টোবর ঢাকা-দিল্লি-ঢাকা, ১ নভেম্বর ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা, ১৫ নভেম্বর ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা রুটে নিয়মিত ফ্লাইট চালাবে বিমান।
বিশ্বজুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় উভয় দেশের মধ্যেকার বিমান যোগাযোগ। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে ‘এয়ার বাবল’ ব্যবস্থায় বিমান চলাচলের বিষয়টি আলোচনায় আসে। এরপর দুই দেশ এই বিশেষ ব্যবস্থায় বিমান চলাচল শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়।