DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ঢাকাশনিবার ২২শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আজকের সর্বশেষ সবখবর

সুনিশ্চিতভাবে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ-বাহাউদ্দীন

Astha Desk
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫ ৭:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সুনিশ্চিতভাবে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ-বাহাউদ্দীন

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নির্বাচন নিয়ে হরেক রকমের অঙ্ক, হিসেবে শুনিয়ে কোন কাজ হবে না মন্তব্য করে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, সামনে নির্বাচন হবে এবং সুনিশ্চিতভাবে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, এর বাইরে হরেক রকম অঙ্ক হবে, অঙ্কে অনেক রকম ঘষা-মাজা হবে, এদিক-সেদিক হবে। কিন্তু কোন কিছুতেই কোন কাজ হবে না। আর যারা ইসলাম বুঝে, ইসলামের জন্য কাজ করবে তাদের সাথেই এদেশের আলেম সমাজ থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের একমাত্র অরাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি, সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী, মসজিদে গাউছুল আজম ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর ১৯তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর মহাখালীস্থ গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে ঈসালে সওয়াব ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। দোয়া পরিচালনা করেন কবি মাওলানা রুহুল আমিন খান।

এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, এদেশের মাদরাসা শিক্ষা, সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংযোজন করা, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ সবকিছুই জিয়াউর রহমানের হাতে করা। সেটাই বাংলাদেশের ভিত্তি, মাদরাসা শিক্ষার ভিত্তি। ইতোমধ্যে শিক্ষা উপদেষ্টা সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন, ইবতেদায়ী মাদরাসা পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে। এদের প্রতি এতোদিন অন্যায় করা হয়েছে।

বরকত উল্লাহ বুলু সাহেব এখানে আছেন, উনি সমস্যার কথাগুলো শুনেছেন, উনারা যখন ইনশাআল্লাহ সরকার গঠন করবেন তখন এবিষয়গুলো মাথায় রাখবেন। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করা, মাদরাসা শিক্ষকদের প্রধান্য দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ মাদরাসা শিক্ষকরা সর্বাবস্থায় বাংলাদেশেই থাকবে, ছেড়ে যায়নি এবং যাবে না। এরাই একমাত্র বাংলাদেশে ভিত্তি করে আছে।

জমিয়াত সভাপতি বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের সময় দীপু মনি যখন শিক্ষামন্ত্রী ও নওফেল উপমন্ত্রী হলেন তখন মাদরাসা শিক্ষাকে হিন্দুয়ানী সাংস্কৃতিতে রূপান্তর করা, এটাকে কিভাবে পৌত্তলিক চিন্তা-চেতনায় পরিপূর্ণ করে ইসলামি ইতিহাস-ঐতিহ্য মুছে ফেলা যায় সেই ভয়ানক একটা কার্যক্রম শুরু করেছিল। এজন্য তারা বইও ছাপিয়েছিল, সবকিছু করেছিল। ওই সময় অনেকে অনেক বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়েছন কিন্তু জমিয়াতুল মোদার্রেছীন একমাত্র মাঠে নামে।

৬৪ জেলায়, প্রক্যেক উপজেলায় মানববন্ধন করেছি। এটা করার কারণে আমাদের অনেক শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন, আমরা সংগঠন হিসেবে লাঞ্ছিত হয়েছি। সেসময় যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ নওফেলকে তার রামকৃষ্ণ মিশনের সার্টিফিকেট, হিন্দুদের পূজা-পার্বনের প্রসাদ খাওয়া জায়েজ বলে ফতোয়া দিয়েছেন তারাই কিন্তু এখন আবার জামায়াতের নেতৃত্বে আছেন। এরা লেবাসধারী।

আরো পড়ুন :  হোসেনপুরে দুই শতাধিক মেধাবী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দিল ইসলামী ছাত্রশিবির

তিনি বলেন, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলো জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আর আলেম-ওলামারা। আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে আমরা বলেছি আপনি ইসলামি রীতি অনুযায়ী মাদরাসা পরিচালনা করেন। জামায়াতের ইসলামীর আদর্শ অনুসরণ করে কাজ করবেন না। কিন্তু সেই কথা উনি শুনেননি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো সিন্ডিকেট গঠন করেছেন জামায়াতের সদস্য বেছে বেছে নিয়ে। মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে জামায়াতের অনুসারীকে। ঠিক আছে উনাকে করছে ভালো, তাকেও বললাম একই কথা কিন্তু উনিও শুনলেন না। উনিও বোর্ডের সমস্ত সদস্য নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর।

ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, তারা (জামায়াত) ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর। সরকারের ভেতরে কিছু উপদেষ্টা, সচিবসহ প্রশাসনে অনেক কিছু তাদের থাকতে পারে। তারা মনে করতেছে মাদরাসাগুলো যদি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে, শিক্ষকরা ভোটের সময় দায়িত্ব পালন করবেন ভোট কেন্দ্রে তাহলে ক্ষমতায় চলে আসবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও যেটা করতে পারেনি জামায়াত সেটাই করছে, শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দলীয়করণ করা হচ্ছে। একটা দলের লোকজন রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তবে এই চেষ্টা অতীতেও সফল হয়নি, এখনও হবে না ইনশাআল্লাহ।

এসময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ওবায়েদুর রহমান খান নদভী, ড. মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম আজহারী, জমিয়াত কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যে- মাওলানা আ ন ম মাহবুবুর রহমান জৈনপুরী (ঢাকা), এ কে এম মাহবুবুর রহমান (চাঁদপুর), মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক (ঢাকা), মাও. আ খ ম আবুবক্কর সিদ্দিক (ঢাকা), মাওলানা মোহাম্মদ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম (ভোলা), মুফতী মাওলানা এজহারুল হক (ঢাকা), মাওলানা আবু জাফর মো. সাদেক হাসান (ঢাকা), ড. মাওলানা ইদ্রিস খান (ময়মনসিংহ), ড. মাও. মো. আবুবকর সিদ্দিক (বরিশাল), মাওলানা মো. জহিরুল হক (গাজীপুর), আ ন ম বোরহান উদ্দিন (নারায়নগঞ্জ), মাওলানা মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ (নারায়নগঞ্জ), মো. আবু রায়হান ভূইঞা (নরসিংদী), মাওলানা মো. মাসুদ আলম (কিশোরগঞ্জ), মাও. মো. রাকিবুল হাসান (গাজীপুর), মাও. ফারুক আহমদ মোমতাজী (গাজীপুর), মাওলানা আবুরাফে মো. ফেরদাউস (মাদারীপুর), মাওলানা মো. মিজানুর রহমান (শরিয়তপুর), মাওলানা মীর মোশাররফ মোহাম্মদ মোস্তফা (নোয়াখালী), মাও. মো. জাহিদুল ইসলাম (টাঙ্গাইল), মাওলানা মিজানুর রহমান ফরিদী (ময়মনসিংহ), শাহ্ মো. সাইফুল্লাহ (বরিশাল), মাওলানা মাহবুবুর রহমান (ঝালকাঠী), মাওলানা রুহুল আমীন আফসারী (পিরোজপুর), মাওলানা বাহারুল ইসলাম (ঝিনাইদাহ), মাও. নূরুল আফছার ফারুকী (ফেনী), মাও. এম টি এম মোস্তফা হামিদী (চাঁদপুর), মাও. শাহাদত হোসাইন (কক্সবাজার) প্রমুখ।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৫:১১
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:০০
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১৬
  • ১২:১৬
  • ৪:১৯
  • ৬:০০
  • ৭:১৪
  • ৬:২৮