গত প্রায় দু’মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাঁধানোর যে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিল, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার পাশ্চাত্যের দেশগুলোর এই প্রচারণায় ‘পানি ঢেলে দিয়েছে’ বলে বিদ্রুপ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
তিনি বলেন,কোথাও একটি গুলিও চলেনি, কিন্তু ইউরোপ যে কী পরিমাণ লজ্জা পেয়েছে— তা আমরা সবাই অনুভব করতে পারছি।’
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশীরাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বৃদ্ধি পায় এই উত্তেজনা।
গত দুই মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন ছিল ১ লাখেরও বেশি রুশ সেনা। সীমান্তের পাশাপাশি কৃষ্ণ সাগরের দ্বীপ ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার অন্যতম মিত্র দেশ বেলারুশে বাড়ানো হয়েছিল রুশ সেনা উপস্থিতি।
ইউক্রেন যেন ন্যাটোর সদস্যপদ লাভের আবেদন প্রত্যাহার করে নেয়, মূলত সেজন্য দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেছিল রাশিয়া। কারণ, ১৯৪৯ সালে গঠিত ন্যাটোকে রাশিয়া বরাবরই পাশ্চাত্য শক্তিসমূহের আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে মনে করে; এবং ঐতিহাসিকভাবেই বিশ্বের বৃহত্তম দেশ রাশিয়া পাশ্চাত্য আধিপিত্যবাদের বিরোধী।