প্রবীণ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে বেলভিউতে দেখতে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এই প্রবীণ অভিনেতা। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিনেতার এখনও সামান্য জ্বর আছে। খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি মস্তিষ্কের এমআরআই-তেও।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, অভিনেতার অবস্থা ‘আপাতত স্থিতিশীল’। তবে উদ্বেগ এখনও কাটেনি। প্রবীণ এই অভিনেতা পুরোপুরি সঙ্কটমুক্ত নন বলেই জানা গেছে।
হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অশীতিপর সৌমিত্রের শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক নেই। তবে চিকিৎসকদের আশা, ওষুধের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এ দিন ইকো, ইসিজি এবং রক্তপরীক্ষা করা হতে পারে তার। আরও একবার এমআরআই-ও করা হতে পারে। কাল, বুধবার নতুন করে করোনা পরীক্ষাও করা হবে সৌমিত্রের। করোনায় সংক্রমিত সৌমিত্রকে গত মঙ্গলবার বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকেই চিকিৎসাধীন তিনি।
বেড়েছে করোনায় আক্রান্ত, কমেছে মৃত্যু
শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো, সৌমিত্রের প্রস্টেটের পুরনো কর্কটরোগ ফিরে এসেছে। ছড়িয়ে পড়েছে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। সংক্রমণ ঘটেছে মূত্রথলিতে। তবে দ্বিতীয় বার প্লাজমা থেরাপির পর খানিকটা হলেও উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সোমবার রাতেই প্রবীণ এই অভিনেতাকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিলো। শ্বাসকষ্ট প্রবল না হলে রোগীকে সাধারণত বাইপ্যাপ বা নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সে ক্ষেত্রে নাকে-মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাড়তি চাপে অক্সিজেন-যুক্ত বাতাস পাঠানো হয় রোগীর ফুসফুসে। করোনা রোগীদের অনেকের ক্ষেত্রেই নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন পদ্ধতি কাজ করেছে। সোমবার রাত থেকে সৌমিত্রকে সে ভাবেই রাখা হয়েছে।
এই পদ্ধতিতে কাজ না হলে সরাসরি তাকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর-এ রাখার কথাও হয়েছে। যেখানে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস পুরোপুরিই যন্ত্রনির্ভর। সকাল থেকে তার প্রয়োজন না পড়লেও দুপুরে অভিনেতাকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। রাতে ঘুম হয়েছে তার। তবে আচ্ছন্নতা ও অস্থিরতা এখনো রয়েছে।