টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্বামী ও শাশুড়ির অতযাচার-জ্বালাতন সইতে না পেরে নিজ ঘরের আড়ায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ইতি বেগম নামে এক গৃহবধূ। শনিবার ওই উপজেলার হাদিরা দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইতি বেগম ওই গ্রামের ব্যবসায়ী আল আ্মিন মিয়ার স্ত্রী। রোববার তার মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ইউপি সদস্য সবুর হোসেন জানান, আল আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন ইতি বেগম। পাঁচ মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। বছর তিনেক আগে সেলিনা নামে একজনকে বিয়ে করেছিলেন আল আমিন। সেই সংসার টেকেনি।
আল আমিনের শ্বশুর দুলাল মিয়া বলেন, ইতি মেধাবী ছাত্রী ছিল। কলেজে পড়ার ইচ্ছা ছিল ওর। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণের পর ইতিকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি আল আমিন। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তার প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হতো। আর স্বামী-শাশুড়ি মিলে তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো।
তিনি আরো জানান, শনিবার দুপুরে এসব বিষয় নিয়ে আল আমিন ও তার মায়ের নির্যাতনের অভিযোগ করেছে ইতি। তার ধারণা, নির্যাতন সইতে না পেরেই ইতি আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের মৃত্যুর জন্য তার স্বামী-শাশুড়িকে দায়ী করে বিচার চাইলেন ইতির বাবা।
অভিযুক্ত আল-আমিন জানান, ইতি অভিমানী মেয়ে ছিলো। সামান্য কথাকাটির জেরে সে এমন কাণ্ড করেছে। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।
গোপালপুর থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান জানান, রোববার ইতি বেগমের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।