স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং তার মতো আর যারা দুর্নীতিবাজ আছে তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান হবে।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেন, দুর্নীতি করে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যারাই দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকুক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থানে। সাবেক মহাপরিচালকের গাড়িচালক এখনো কেন বরখাস্ত হচ্ছেন না এ ব্যাপারে আজই জানতে চাওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃদীর্ঘদিন পর খুলে দেওয়া হল তাজমহলের প্রবেশ দ্বার
রোববার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তুরাগের বামনারটেক এলাকার একটি সাততলা ভবন থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন আবদুল মালেক। অবৈধ অস্ত্র, জাল নোটের ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করার পর র্যাব বলছে, তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারীর বিপুল সম্পদের খোঁজ পেয়েছেন তারা।
মালেককে গ্রেফতারের পর র্যাব জানায়, তার দুটি সাততলা ভবন, নির্মাণাধীন একটি ১০ তলা ভবন, জমি, গরুর খামার ও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ গচ্ছিত অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। তার সম্পদের অর্থমূল্য শত কোটি টাকারও ওপরে।
র্যাবের দাবি, এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ জাল বাংলাদেশি টাকা, একটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবদুল মালেক অষ্টম শ্রেণি পাস। তিনি ১৯৮২ সালে প্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পের গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন। বছর চারেক পর অধিদফতরের পরিবহন পুলে যোগ দেন। গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন। ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তিনি বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের আস্থাভাজন ছিলেন মালেক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে র্যাব জানতে পেরেছে।