প্রযুক্তি ডেস্কঃ
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ভিডিও/অডিও কলে কথা বলার অ্যাপস ‘বিপ’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ প্রচারণা চলায় অ্যাপসটির ব্যবহার বাড়ছে দ্রুত। এক সময়ের বেশ জনপ্রিয় ও পুরাতন অ্যাপস ইমুর বিকল্প হিসেবে এটিকে দেখছেন তুর্কি এই অ্যাপের বাংলাদেশি ব্যবহারকারীরা।
গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ ‘বিপ’ প্লে স্টোরে আপডেট হয়। ৮০ মেগাবাইটের এই অ্যাপটি ইনস্টল করেছেন ৫ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী। অ্যাপটিতে একসঙ্গে ১০ জন ব্যক্তি ভিডিও কনভার্সেশনে কথা বলতে পারবেন। ১০৬টি ভাষায় এটি ব্যবহার করা যাবে। ইতোমধ্যে ১০ লাখেরও অধিক ইউজারের কাছ থেকে গড়ে ৪.৪ রেটিং পেয়েছে ‘বিপ’।
তুরস্কে তৈরি অ্যাপ বলেই বাংলাদেশেও ধর্মীয়ভাবে এর কিছুটা প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। ‘আর নয় অমুসলিমদের অ্যাপ, এবার এল তুর্কী মুসলিমদের অ্যাপ’ ফেসবুকে এমন পোস্ট দিতেও দেখা গেছে অনেককে। বাংলাদেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলো ও মাদ্রসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদেরকে ফেসবুকে অ্যাপটি নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে দেখা যায়।
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় একটি অ্যাপস ইমু। খুব কম ইন্টারনেট খরচ করে আপনজনের সঙ্গে ভিডিও/অডিও কলে কথা বলা, ছবি কিংবা ভিডিও পাঠিয়ে দেয়া যায় ইমুতে। হাতে হাতে অ্যান্ড্রয়েড আসার শুরু থেকেই অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়। তবে সম্প্রতি ইমু নিয়ে বেশ সমালোচনাও হচ্ছে। এমনিতেই আরও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস এসে যাওয়ায় ইমোর গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। তার ওপর আবার বিভিন্ন প্রকার প্রতারক ও সুযোগসন্ধানীরা ইমুকে বেছে নিয়েছে আধুনিক মাধ্যম হিসেবে। আপত্তিকর ছবি পাঠানো, যখন তখন ভিডিও কিংবা অডিও কল দেয়া, এমনকি দেহব্যবসার প্রস্তাবসহ নানা অশ্লিলতা ছড়িয়ে পড়ছে ইমুতে। এজন্য ইমুর বিকল্প কোনো অ্যাপস খুঁজছিলেন বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা।