ঢাকা ০২:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo খাগড়াছড়িতে সেনা ক্যাম্প স্থাপনে বাধা প্রদানের প্রতিবাদে ঢাবিতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল Logo একটি স্নাইপার বুলেটই যথেষ্ট: বাঙালি নেতাকে কেএনএফ-এর হুমকি! Logo খাগড়াছড়িতে নাশকতার পরিকল্পনা করছে ইউপিডিএফ Logo সামনে ঘোর অন্ধকার-আমরা ঘুমাচ্ছি Logo খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বাষিকী পালিত Logo কিশোরগঞ্জে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল Logo হোসেনপুরে পুলিশের হাত থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল বিএনপি নেতারা Logo কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে মহাসচিব মির্জা ফখরুলের শোক Logo রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসিম আকনের মৃত্যুতে প্রবাস থেকে শোক প্রকাশ করলেন সেলিম রেজা

হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
  • / ১০৪০ বার পড়া হয়েছে

হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

আমির হোসেন/ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির নলছিটিতে চাঞ্চল্যকর সাইদুল হত্যা মামলায় মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদারসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়াও তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের দন্ডাদেশ দেওয়া হয়। মামলার অপর ১০আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (১২জুন) ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদার ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার, ফারুক মল্লিক ও সাইদুল ইসলাম খান।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী কবির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন দক্ষিণ কামদেবপুর এলাকার সাবেক এমএলএ মরহুম মোকিম হোসেন হাওলাদারের ছেলে। ফারুক মল্লিক পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামের সুলতান মল্লিক ও সাইদুল ইসলাম খান উপজেলার মধ্য কামদেবপুর গ্রামের মনিরুল খানের ছেলে।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ দুপুরে স্থানিয় নাচনমহল ব্রিজের ঢালে সাইদুলকে (কানবালা সাইদুল) কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পুলিশ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে নিহত কানবালা সাইদুল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল ও একসময় সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদারের সাথেই কাজ করত। কিন্তু সে কবির হোসেনের ছত্রছায়া থেকে চলে আসার কারণে প্রতিহিংসার সূত্র ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

এই ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুল আজিজ তালুকদার বাদী হয়ে নলছিটি থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিআইডির পরিদর্শক ২০২০ সালের ২৮ মার্চ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর স্বাক্ষর গ্রহণ করেন।

ট্যাগস :

হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন

আমির হোসেন/ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ

ঝালকাঠির নলছিটিতে চাঞ্চল্যকর সাইদুল হত্যা মামলায় মোল্লারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদারসহ ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়াও তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের দন্ডাদেশ দেওয়া হয়। মামলার অপর ১০আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (১২জুন) ঝালকাঠি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদার ও তার ভাই দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার, ফারুক মল্লিক ও সাইদুল ইসলাম খান।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী কবির হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন দক্ষিণ কামদেবপুর এলাকার সাবেক এমএলএ মরহুম মোকিম হোসেন হাওলাদারের ছেলে। ফারুক মল্লিক পশ্চিম কামদেবপুর গ্রামের সুলতান মল্লিক ও সাইদুল ইসলাম খান উপজেলার মধ্য কামদেবপুর গ্রামের মনিরুল খানের ছেলে।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ দুপুরে স্থানিয় নাচনমহল ব্রিজের ঢালে সাইদুলকে (কানবালা সাইদুল) কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পুলিশ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে নিহত কানবালা সাইদুল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল ও একসময় সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন হাওলাদারের সাথেই কাজ করত। কিন্তু সে কবির হোসেনের ছত্রছায়া থেকে চলে আসার কারণে প্রতিহিংসার সূত্র ধরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

এই ঘটনায় নিহতের পিতা আব্দুল আজিজ তালুকদার বাদী হয়ে নলছিটি থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিআইডির পরিদর্শক ২০২০ সালের ২৮ মার্চ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর স্বাক্ষর গ্রহণ করেন।