হাফিজুর রহমান শরিয়তপুরীর বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
এস,এম,স্বাধীন/শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ থেকে দুবাই, দুবাই থেকে লিবিয়া ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ইতালি পাঠানোর কথা বলে শরীয়তপুর সদর উপজেলার বাঘিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সত্তার খন্দকারের ছেলে সজিব খন্দকার এর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েও লিবিয়া পাঠানোর পর আর কোনো খোঁজখবর রাখেনি একই গ্রামের আলী আকবর হাওলাদারের ছেলে হাফিজুর রহমান শরিয়তপুরী।
ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, সজিবকে লিবিয়া পুলিশ ধরে নিয়ে যায় সেখান থেকে তাকে তিন লক্ষ আশি হাজার টাকা দিয়ে দালালের মাধ্যমে বের করা হয়। সেই নতুন দালাল আবার আরো ১০ লক্ষ টাকা দাবি করতেছে তার ছেলেকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য। টাকা না দিলে সজীবকে মাফিয়ার হাতে তুলে দিবে তারা। কিন্তু হাফিজুর রহমান অস্বীকার করে বলে তার থেকে কোন টাকা নেয় নি এবং তিনি কোনো দায় নিতে চাচ্ছে না।
সজীবের বাবা আব্দুস সাত্তার খন্দকার বলেন, আমার ছেলে সজীবকে লিবিয়া দিয়ে ইতালি পাঠানোর জন্য ৯ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়ে ছিল হাফিজুরের সাথে। প্রথমে ৭ লাখ টাকা নিয়েছে, পরে আবার ওর ভাগ্নাকে দিয়ে ৩ লক্ষ টাকা নিছে। টাকা নেওয়ায় পর ৩ মাস খবর ছিল না। এরপর খবর পাইছি আমার ছেলে লিবিয়ার জেলে আছে। তারপর আমরা হাফিজুরকে বলি ওরে বের করতে হাফিজুর কোন কথা না বলায় আমরা নিজেরাই ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে আমার ছেলেকে বের করছি। এখনো অন্য দালালের কাছে আছে। ওরে বের করতে হলে আরো ১০ লক্ষ টাকা লাগবে। টাকা না দিলে ওই দালাল মাফিয়ার কাছে বিক্রি করে দেবে আমার ছেলেকে। এখন হাফিজুর কোন দায় নিচ্ছে না। এ অবস্থায় আমার আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা।
হাফিজুর রহমান শরিয়তপুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি কোন এক টাকাও নিই নি সজীবকে পাঠানোর জন্য। দালালকে টাকা দেওয়া দরকার ওর বাবা তারেই টাকা দিছে। দালালের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই, দালালকে আমি জীবনে দেখিও নাই, চিনিও না।