সম্প্রীতির বাতাবরণ এখনো এই দেশ থেকে একেবারে ঘুঁচে যায়নি। এখনো কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা ধর্মের বিভেদে বিশ্বাস করেন না। সম্পর্কই যাঁদের কাছে শেষ কথা। হিন্দু বা মুসলিম তাঁদের কাছে স্রেফ তকমা হয়েই থেকে যায়। অসমের শিবসাগরে এক মুসলিম যুবতী সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন। হিন্দু ভাইয়ের সৎকার করলেন তিনি নিজে। এক যুবকের আত্মীয়-স্বজন কেউ এগিয়ে না আসায় তাঁর মুখাগ্নি করলেন সেই যুবতী নিজেই। শিবসাগরের এই ঘটনা এখন সারা দেশের সামনে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
মুসলিম বোনের হিন্দু ভাই। সেই মুসলিম যুবতীর সঙ্গে হিন্দু যুবকের ভাই-বোনের থেকেও বেশি বড় সম্পর্ক ছিল। ধর্ম তাদের সম্পর্কের মাঝে কখনো প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়নি। সেই যুবক আচমকাই মারা যাযন। যুবকের নিকটাত্মীয়রা কেউই সৎকারের জন্য এগিয়ে আসেনি। কিন্তু এগিয়ে এলেন তাঁর মুসলিম বোন। মুস্কান বেগম নামের ওই মহিলা তাঁর হিন্দু ভাইকে শ্মশানে নিয়ে গেলেন। তাঁর মুখাগ্নি করলেন। মুস্কান বেগম অবশ্য এই ঘটনাকে তেমন আমল দিচ্ছেন না। প্রিয় ভাইকে হারিয়ে তিনি এখন শোকে স্তব্ধ। কারো সঙ্গেই তেমন কথা বলছেন না তিনি।
আরও পড়ুন– ব্যবসা করছে তারা, ছোট হতে হচ্ছে আমাকে, ফারিন
হিন্দু ভাইয়ের মুখাগ্নির কথা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনেও কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন তিনি। শুধু এইটুকুই বলেছেন, তিনি নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর থেকে বেশি কিছু করেননি। তাই সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর বলার কিছুই নেই। তিনি না বুঝলেও গোটা দেশ বুঝতে পারছে, ধর্ম নিয়ে হানাহানির এই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে মুস্কান বেগম সম্প্রীতির কত বড় নজির গড়লেন!