হিলিতে আদার কেজিতে বাড়লো ৪০ টাকা
জয়নাল আবেদীন জয়/হিলি প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের হিলিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আদার দাম বেড়েছে ৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে শুক্রবার (১৯ মে) যে আদা প্রতকেজি বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা, শুক্রবার (২৬ মে) সেই আদা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা।
পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, হিলি বাজারে যেসব আদা বিক্রি হচ্ছে,তার সবই ভারত থেকে আনা। মোকামে কিনতেই প্রতিকেজি আদার দাম পড়ছে ২৬০ থেকে ২৬৫ টাকা। এর সঙ্গে আছে পরিবহণ ও লেবার খরচ। তাই খুচরা বিক্রেতারা প্রতিকেজি আদা ২৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।
আদা কিনতে আসা ইসবপুর গ্রামের মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘হিলিতে আদার আদাম বেড়েই চলেছে। গত সপ্তাহে শুক্রবার ( ১৯ মে) প্রতিকেজি আদা কিনেছিলাম ২৪০ টাকায়। আর কিনলাম ২৮০ টাকা টাকা কেজি দরে। ৭ দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি আদার দাম বেড়েছে ৪০ টাকা।
বৈগ্রামের মোঃ মিলন মিয়া বলেন, ‘সব তরকারিতেই কমবেশি আদার ব্যবহার করতে হয়। এই পণ্যটির দামও প্রতিদিনই বাড়ছে। একমাস আগে ১৮০ টাকা কেজি দরে আদা বিক্রি হলেও বর্তমানে ১০০ টাকা বেড়ে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাই আজকে ৫০০ গ্রাম আদা কিনতে এসে দাম বেশির কারণে ৭০ টাকা দিয়ে ২৫০ গ্রাম কিনলাম।
খুচরা আদাবিক্রেতা মোঃ মইনুল হোসেন বলেন, ‘আমরা খচুরা আদাবিক্রেতা। যেদামে পাইকারি বাজার থেকে কিনে আনি, তার থেকে ৫/১০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। পাইকারি বাজারেই দাম বেশি। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
পাইকারি আদাবিক্রেতা মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও মো. মোকারম হোসেন বলেন, ‘হিলি বাজারে যেসব আদা বিক্রি হচ্ছে,তার সবই ভারত থেকে আনা। আমরা মোকাম থেকে প্রতিকেজি আদা ২৬০ থেকে ২৬৫ টাকা কেজি দরে কিনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ২৭০ থেকে ২৭২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এরমধ্যে আছে পরিবহণ ও লেবার খরচ। পাইকারি আদা বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিয়ে কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা লাভ থাকে। আর খুচরা বিক্রেতা বিক্রি করছেন ২৮০ টাকা কেজি দরে।’
পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিডেটের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ সোহরাব হোসেন মল্লিক বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আদা আমদানি অব্যাহত আছে। গত ৩ দিনে মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার ( ২৩ মে থেকে ২৫ মে) পর্যন্ত ৮ টি ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ১২৮ মেট্রিন টন আদা আমদানি হয়েছে।’