আবুল কালাম আজাদ: রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার কসবামাজাইল ইউনিয়নে চলছে শাস্তির সুবাতাস। গত মঙ্গলবার একই ইউনিয়নে ৩৬ জন শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার হওয়ায়, ইউনিয়নবাসী আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে এলাকাবাসী।
এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে, সুযোগ্য পুলিশ সুপার, রাজবাড়ী মহোদয়ের সার্বিক তত্বাবধানে, রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি ওমর শরীর ও পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন নেতৃত্বে এবং সংগীয় পুলিশ সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয় ।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি ওমর শরীর ও পাংশা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, গত মঙ্গলবার গভীর রাতে পাংশার সুবর্ণকোলা গ্রামের একটি মেহগনি বাগানে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ওই সংবাদের ভিত্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও পাংশা থানা পুলিশের সদস্যরা সেখানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় জজ আলী বিশ্বাস, তার ছেলে মতিন বিশ্বাস ও বদিয়ার বিশ্বাস, মশিউর পিল্টুসহ ৩৬ জন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ৩৬ জনের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে কশবামাজাইলের সূবর্ণকোলা গ্রামের শিক্ষক আসাদুল খান হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন করে ডাকাতির প্রস্তুতি এবং অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রাজবাড়ীতে ডিবির অভিযানে ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক
এই দূধর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী পাংশা উপজেলার দক্ষীনাঞ্চরের ত্রাস কশবামাজাইল ইউনিয়নের জজ আলী বিশ্বাস ও পিল্টু বাহিনীর পিল্টু তার দলবল অস্ত্রসহ প্রশাসনের হাতে গ্রেফতার হওয়াতে এলাকা বাসির মনে আনান্দো ও জনমনে স্বস্তি ফিরে ফিরেছে।
এর জন্য প্রশাসন কে ধন্যবাদ দিয়ে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরন করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে এই জজ আলী ও পিল্টু বাহিনীর শীর্ষ সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের দলীয় পদপদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে খুন, ধর্ষন, চাঁদাবাজি,জমি দখল ছিন্তাই,ডাকাতি, সহ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মহরা,মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল দীর্ঘ দিন।
এদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে আর রক্ষে নাই।এলাকাবাসী জানান এদের সঠিক বিচার হওয়া দরকার। এরা যেন আর এরকম না করতে পারে সেদিকে প্রশাসনকে কঠোর নজর দিতে হবে।