অফেরতযোগ্য টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে উপজেলা শিক্ষা অফিসের নিলাম ডাকে জামানত হিসেবে অফেরতযোগ্য টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ঠিকাদাররা। উপজেলা পরিষদ হলরুমে আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিলাম শেষে এ নিয়ে বিক্ষোভ করে অংশগ্রহণকারীরা।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের হল রুমে নিলাম ডাক শুরু হয়। মোট ১০ হাজার ২শ টাকা করে জামানত রেখে এতে ১শ ৬২ জন অংশ নেয়। ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকায় সর্বোচ্চ ডাকদাতা হন সাদ্দাম হোসেন নামে এক অংশগ্রহণকারী। তবে নিলাম শেষে টাকা ফেরতের সময় বাধে বিপত্তি। নিলাম কর্তৃপক্ষ অংশগ্রহণকারীদের জামানতের ২শ টাকা করে কেটে নেয়। এরপরই জামানতের কেটে নেওয়া ২শ টাকা করে মোট ৩২ হাজার ৪শ টাকা ফেরত চেয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন ১শ ৬১ জন অংশগ্রহণকারীরা।
নিলাম ডাকে অংশগ্রহণকারী বাঁধন সরকার বলেন, নিলাম ডাক শুরুর ৩০ মিনিট আগে জামানত হিসেবে ১০ হাজার ২শ টাকা জমা দেই। নিলাম শেষে জামানত ফেরত নিতে গেলে ২শ টাকা কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু কেন এ টাকা কেটে নেওয়া হলো তা বলা হচ্ছে না। চঞ্চল নামে আরেক অংশগ্রহণকারী বলেন, আমরা নিলাম ডাকে আগেও অংশগ্রহণ করেছি। কোথাও এমনটা দেখিনি। কী কারণে জামানতের ২শ টাকা কেটে নেওয়া হলো তার সদুত্তর আমরা পাইনি।
এ বিষয়ে নিলাম কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বেলাল হোসেন বলেন, নিলাম কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিলাম প্রক্রিয়ার ব্যয়ের জন্য ২শ টাকা করে অফেরতযোগ্য জামানত হিসেবে রাখা হয়। নিলামের আগে বিজ্ঞপ্তি, মাইকিংসহ বিভিন্ন প্রচারে ১০ হাজার টাকা ফেরতযোগ্য জামানত এবং ২শ টাকা অফেরতযোগ্য জামানতের টাকা উল্লেখ করেছি।
এ ব্যাপারে নিলাম কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, নিলাম ডাকে অফেরতযোগ্য জামানতের বিষয়ে আমি জানি না। নিলাম কমিটির মিটিংয়ে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অংশগ্রহণকারীদের জামানতের অফেরতযোগ্য ২শ টাকা যদি ফেরত দেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে ফেরত দেওয়া হবে। না হলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। আর নিলাম প্রক্রিয়ার ব্যয়ের জন্য অফেরতযোগ্য জামানত নেওয়ার বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।