ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo হাসপাতালে সংস্কার উদ্যোগে সহযাত্রী সোশ্যাল ফাউন্ডেশনের অগ্রগতি Logo দশমিনায় পুকুরে পরে শিশু নিহত Logo এনআইডি কার্ড ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ বন্ধ : ডিসি সারোয়ার Logo আমরা যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব : বিমান উপদেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা; ঐক্য ও সৌহার্দ্যের নতুন বন্ধন Logo রংপুরে শাশুড়িকে ধর্ষণের অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে Logo দেশে মাদ্রাসা বোর্ড পাশে এগিয়ে যদিও বৈরাটি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সকল শিক্ষার্থীই ফেল Logo রাজাপুর-কাঁঠালিয়া উন্নয়ন ফোরামের কমিটি গঠন সভাপতি আবু ইউসুফ সেক্রেটারি জসীম উদ্দীন Logo পানছড়ির উল্টাছড়িতে ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া-ভোট ফর ধানের শীষ ক্যাম্পেইন Logo শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা যাচাইয়ের আহ্বান উপ-প্রেস সচিবের

অহংকারের কঠোর পরিণাম ও শাস্তি

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০২৭ বার পড়া হয়েছে

নারীর সকল গুরুভার পুরুষের কাঁধে

অহংকার মানুষের মধ্যে থাকা একটি (খারাপ )গুণ । অহংকার হলো মানুষ নিজের কাজকর্ম বা নিজের চলাফেরা , শিক্ষাগত যোগ্যতা , পারিবারিক দিক এক কথায় সবদিক থেকে নিজেকে বড়ো মনে করা । মনে মনে এমন ধারণা রাখা যে আমিই সবচেয়ে যোগ্য, অন্যরা কোনকিছুর যোগ্যতা রাখে না । অন্যজনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ও নিকৃষ্ট মনে করা , নিজের থেকে নিচু মনে করা , কাওকে হেয় প্রতিপন্ন করা , যাদের প্রতি তার বিনয়ী , সম্মানী হওয়া উচিত তাদের থেকে নিজেকে উচু মনে করা ।

কিন্তু দ্বীনি , দুনিয়াবি সকল শিক্ষার মধ্যেই অহংকার করা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেওয়া হয় । বলা হয়েছে যে “অহংকার পতনের মূল” কিন্তু এটা জানার পরে মানুষ না চাওয়া সত্বেও অহংকার করে থাকে । অহংকার কবিরা গুনাহসমূহর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।আর মানুষ একবার যদি অহংকারের ক্ষতি ও পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করত!

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’সম্মান আমার লুঙ্গি এবং গর্ব আমার চাদর। (অর্থাৎ খাস আমার গুণ।) সুতরাং যে ব্যক্তি আমার কাছ থেকে এর মধ্য থেকে যে কোনো একটি টেনে নিতে চাইবে, আমি তাকে শাস্তি দেব।’’ (মুসলিম২৬২০)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তাআলা বলেছেন-‘বড়ত্ব আমার চাদর এবং মহানত্ব আমার ইযার। কেউ যদি এ দুইটির কোনো একটির ব্যাপারে আমার সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় তবে আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব।” (মুসলিম, মিশকাত)

একইভাবে অহংকারের কঠোর পরিণাম ও শাস্তির বিবরণের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তাআলার বাণী, “তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি (তোমাদের ডাকে) সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদত নিয়ে অহংকার করে তারা শীঘ্রই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (সুরা মুমিন : আয়াত ৬০)

আর মানুষের করা এই অহংকারের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়েছিল দুনিয়ায় প্রথম পাপ। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ব প্রথম অহংকারী ও দাম্ভিকতা প্রদর্শনকারী হলো- ইবলিশ বা শয়তান। যখন আল্লাহ তায়ালা সকল ফেরেস্টাকুলকে হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করার আদেশ করেছিলেন তখন শয়তান আল্লাহর নির্দেশের অমান্য করেছিল এবং তার শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করে ছিল ।

আল্লাহ তায়ালার বাণী, ‘কিসে তোমাকে বাধা দিয়েছে যে, (আদমকে) সিজদা করছ না; যখন আমি তোমাকে নির্দেশ দিয়েছি ? সে বলল, ‘আমি তার চেয়ে উত্তম। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে।” (সুরা আরাফ – আয়াত নং ১২)

মহান আল্লাহ তাআলা অহংকারীকে পছন্দ করেন না। এ মর্মে কোরআনুল কারীমে ঘোষণা এসেছে, “আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিবে না। আর জমিনে দম্ভভরে চলাফেরা করবে না; নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক; অহংকারীকে পছন্দ করেন না।” ( সুরা লোকমান – আয়াত ১৮)

আল্লাহ তায়ালা সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে অহংকার করা থেকে এবং অহংকারের ভয়াবহ পরিণতি ও শাস্তি থেকে হেফাজত করুন ।

ট্যাগস :

অহংকারের কঠোর পরিণাম ও শাস্তি

আপডেট সময় : ০৯:৩৭:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অহংকার মানুষের মধ্যে থাকা একটি (খারাপ )গুণ । অহংকার হলো মানুষ নিজের কাজকর্ম বা নিজের চলাফেরা , শিক্ষাগত যোগ্যতা , পারিবারিক দিক এক কথায় সবদিক থেকে নিজেকে বড়ো মনে করা । মনে মনে এমন ধারণা রাখা যে আমিই সবচেয়ে যোগ্য, অন্যরা কোনকিছুর যোগ্যতা রাখে না । অন্যজনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ও নিকৃষ্ট মনে করা , নিজের থেকে নিচু মনে করা , কাওকে হেয় প্রতিপন্ন করা , যাদের প্রতি তার বিনয়ী , সম্মানী হওয়া উচিত তাদের থেকে নিজেকে উচু মনে করা ।

কিন্তু দ্বীনি , দুনিয়াবি সকল শিক্ষার মধ্যেই অহংকার করা থেকে বিরত থাকার শিক্ষা দেওয়া হয় । বলা হয়েছে যে “অহংকার পতনের মূল” কিন্তু এটা জানার পরে মানুষ না চাওয়া সত্বেও অহংকার করে থাকে । অহংকার কবিরা গুনাহসমূহর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ।আর মানুষ একবার যদি অহংকারের ক্ষতি ও পরিণতি সম্পর্কে চিন্তা করত!

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’সম্মান আমার লুঙ্গি এবং গর্ব আমার চাদর। (অর্থাৎ খাস আমার গুণ।) সুতরাং যে ব্যক্তি আমার কাছ থেকে এর মধ্য থেকে যে কোনো একটি টেনে নিতে চাইবে, আমি তাকে শাস্তি দেব।’’ (মুসলিম২৬২০)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তাআলা বলেছেন-‘বড়ত্ব আমার চাদর এবং মহানত্ব আমার ইযার। কেউ যদি এ দুইটির কোনো একটির ব্যাপারে আমার সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় তবে আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব।” (মুসলিম, মিশকাত)

একইভাবে অহংকারের কঠোর পরিণাম ও শাস্তির বিবরণের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ তাআলার বাণী, “তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি (তোমাদের ডাকে) সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদত নিয়ে অহংকার করে তারা শীঘ্রই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।” (সুরা মুমিন : আয়াত ৬০)

আর মানুষের করা এই অহংকারের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়েছিল দুনিয়ায় প্রথম পাপ। পৃথিবীর ইতিহাসে সর্ব প্রথম অহংকারী ও দাম্ভিকতা প্রদর্শনকারী হলো- ইবলিশ বা শয়তান। যখন আল্লাহ তায়ালা সকল ফেরেস্টাকুলকে হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করার আদেশ করেছিলেন তখন শয়তান আল্লাহর নির্দেশের অমান্য করেছিল এবং তার শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করে ছিল ।

আল্লাহ তায়ালার বাণী, ‘কিসে তোমাকে বাধা দিয়েছে যে, (আদমকে) সিজদা করছ না; যখন আমি তোমাকে নির্দেশ দিয়েছি ? সে বলল, ‘আমি তার চেয়ে উত্তম। আপনি আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, আর তাকে সৃষ্টি করেছেন কাদামাটি থেকে।” (সুরা আরাফ – আয়াত নং ১২)

মহান আল্লাহ তাআলা অহংকারীকে পছন্দ করেন না। এ মর্মে কোরআনুল কারীমে ঘোষণা এসেছে, “আর তুমি মানুষের দিক থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নিবে না। আর জমিনে দম্ভভরে চলাফেরা করবে না; নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো দাম্ভিক; অহংকারীকে পছন্দ করেন না।” ( সুরা লোকমান – আয়াত ১৮)

আল্লাহ তায়ালা সমস্ত মুসলিম উম্মাহকে অহংকার করা থেকে এবং অহংকারের ভয়াবহ পরিণতি ও শাস্তি থেকে হেফাজত করুন ।