ক্ষমতায় আসার পর থেকে উত্তরবঙ্গকে ঢেলে সাজানোই লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। কোভিড পরিস্থিতিতেও উত্তরের জেলাগুলির আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উত্তরের জেলাগুলির জন্য নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্প নেওয়া হলেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা করা হয়। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকেও বিরোধীদের খোঁচা দিলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “উত্তরবঙ্গজুড়ে যা কাজ হয়েছে তা কখনও হয়নি। তবু দুঃখ কেউ কেউ বলে কোনও কাজ হয়নি। যারা একথা বলে তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ বোঝে। যারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা সবচেয়ে বড় গুন্ডা। হাজারটার মধ্যে একটা ভুল হয়ে গেলেই নৃত্য করবে। টাকা থাকলে মিথ্যে খবর করানো যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে রটাচ্ছে। রাজনীতি মানে মিথ্যে কথা বলা নয়। রাজনীতি মানে দায়বদ্ধতা। বিডিও, আইসি, এসপিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নজর রাখুন। ৫০ হাজার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ টাকা দিয়ে তৈরি করেছে। আর দাঙ্গা বাধাচ্ছে। দিদি একা দেখবে আর কেউ দেখবে না তা হবে না। মানসিক সন্ত্রাস হচ্ছে। এটা শারীরিক সন্ত্রাসের থেকেও ভয়ংকর। রুখতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ বিতর্কিত কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিলেন মমতা
ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগে গেরুয়া শিবিরের সমলোচনা করেছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধর্ম আমরাও মানি। সব ধর্মকে আমরাও ভালবাসি।” রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্র মিথ্যে প্রচার করছে বলেও কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর দাবি, “আমরা সাইকেল দিচ্ছি। আর দিল্লি থেকে এসে বলছে ওগুলো দিল্লি থেকে দেওয়া। দিল্লি কা লাড্ডু জানেন তো খেলেই পস্তাবেন।” কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না বলেও আরও একবার অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মূলত পর্যটনের মাধ্যমেই যে উত্তরের জেলাগুলির অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে তা জানান তিনি। এছাড়াও চা শ্রমিকদের জন্য রাজ্য সরকার যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করে বলেও দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
এছাড়াও এদিনের বৈঠকে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে উত্তরের প্রত্যেক জেলায় একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে বলেই জানান তিনি।