ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল Logo বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র Logo পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন Logo পানছড়িতে অবৈধ কাঠ আটক করেছে বিজিবি Logo পানছড়িতে সেনাবাহিনীর মতবিনিময়, উপহার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান Logo কিশোরগঞ্জে রওজা মনি হত্যার বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর মানববন্ধন Logo ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে রেজাউল করিম খান চুন্নুর সমর্থকদের গণমিছিল Logo পানছড়িতে শিক্ষার্থীর হাতে ওয়াদুদ ভূঁইয়া ফাউন্ডেশনের অনুদান তুলে দিলো স্বেচ্ছা সেবক দল

আমি কোনো অপরাধ করিনি-ড. ইউনূস

Astha DESK
  • আপডেট সময় : ০১:৫১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১০৪৩ বার পড়া হয়েছে

যা হয়েছে আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হয়েছে। পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ইউনূস ছাড়াও আজ আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি।

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি, আমার আর কিছু বলার নেই। আর আমি কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো, এটা লিগ্যাল বিষয়। আপনারা কষ্ট করে এসেছেন সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে নোবেলজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইনজীবী এবং গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তাসহ দুদক কার্যালয়ে আসেন এই নোবেলজয়ী। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধান।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যা হয়েছে আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হয়েছে। পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ইউনূস ছাড়াও আজ আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ১শ ৬ কর্মচারী শ্রম আদালতে মামলা করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছে, কেন তাদের নীট মুনাফার ৫% এর অংশ দেয়া হবে না। এ নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নেও মামলা করেছিল। এই মামলা ট্রেড ইউনিয়ন শ্রম আদালতে গোপন করে হাইকোর্টে এসে একটি মামলা করল যে, টেলিকমকে অবসায়ন এবং লিকুইডিটর দেয়ার জন্য।

আইনজীবী আরও বলেন, সারা পৃথিবী তার (ড. ইউনূস) এই উদাহরণ গ্রহণ করেছে, আমেরিকাসহ পুরো ইউরোপ। কোম্পানি আইনের ২৮ ধারায় রয়েছে, যারা সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, সেটির মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এ কারণে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের এই ধারায় একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। এর মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি আইনে। আর লেবার কোর্টের দায়িত্ব হচ্ছে, এই কোম্পানিতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করবেন তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা দেখভাল করা।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়ে অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক।

অপর দিকে এর আগে বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মোঃ শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মোঃ ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মোঃ মাইনুল ইসলাম আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

ট্যাগস :

আমি কোনো অপরাধ করিনি-ড. ইউনূস

আপডেট সময় : ০১:৫১:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৩

যা হয়েছে আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হয়েছে। পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ইউনূস ছাড়াও আজ আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি।

স্টাফ রিপোর্টারঃ

আমাকে ডেকেছে তাই এসেছি, আমার আর কিছু বলার নেই। আর আমি কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো, এটা লিগ্যাল বিষয়। আপনারা কষ্ট করে এসেছেন সেজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে নোবেলজয়ী ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আইনজীবী এবং গ্রামীণ টেলিকমের দুই কর্মকর্তাসহ দুদক কার্যালয়ে আসেন এই নোবেলজয়ী। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন দুদকের উপ-পরিচালক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধান।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, যা হয়েছে আইন ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী হয়েছে। পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ইউনূস ছাড়াও আজ আরও একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের ১শ ৬ কর্মচারী শ্রম আদালতে মামলা করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছে, কেন তাদের নীট মুনাফার ৫% এর অংশ দেয়া হবে না। এ নিয়ে ট্রেড ইউনিয়নেও মামলা করেছিল। এই মামলা ট্রেড ইউনিয়ন শ্রম আদালতে গোপন করে হাইকোর্টে এসে একটি মামলা করল যে, টেলিকমকে অবসায়ন এবং লিকুইডিটর দেয়ার জন্য।

আইনজীবী আরও বলেন, সারা পৃথিবী তার (ড. ইউনূস) এই উদাহরণ গ্রহণ করেছে, আমেরিকাসহ পুরো ইউরোপ। কোম্পানি আইনের ২৮ ধারায় রয়েছে, যারা সমাজের কল্যাণের জন্য কাজ করবে, সেটির মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এ কারণে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানি আইনের এই ধারায় একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। এর মুনাফা দেয়া নিষিদ্ধ। এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি আইনে। আর লেবার কোর্টের দায়িত্ব হচ্ছে, এই কোম্পানিতে যেসব শ্রমিকরা কাজ করবেন তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা দেখভাল করা।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মোঃ গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়ে অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক।

অপর দিকে এর আগে বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মোঃ শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মোঃ ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মোঃ মাইনুল ইসলাম আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।