বাদশাহ’র আলোচিত ‘গেন্দা ফুল’ গানটি এবার রতন কাহারের কণ্ঠে নতুন রূপে ফিরছে। গেন্দা ফুলের স্রষ্টা রতন কাহার এই নতুন রূপে শুধু গানই গাননি, ৮৫ বছরেও নেচেছেন দেবলীনা-জ্যাকলিনের সঙ্গে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, লকডাউনের মধ্যেই সোনি মিউজিকের পক্ষ থেকে ‘গেন্দা ফুল’ গানটির তবলা বিট মিক্স করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। দায়িত্ব পড়ে কলকাতার পরিচালক অরিন্দম শীল ও বিক্রম ঘোষের ওপর। তবলা মিক্স যদি করতেই হয়, তবে রতন কাহারকে দিয়েই গাওয়াবেন বলে ঠিক করেন । আদৌ রতন কাহার রাজি হবেন কিনা, তা নিয়েও ছিল আশঙ্কা। কারণ, মাস কয়েক আগে মুক্তি পাওয়া বাদশা-জ্যাকলিনের রিমেক নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।
বিক্রম বলেন, রতন কাহার গানটি করতে রাজি হয়ে যান। এরপরই পুরোদমে শুরু হয় প্রস্তুতি। ৮৫ বছর বয়সী শিল্পী গান তো গাইলেনই। একই সঙ্গে মিউজিক ভিডিওর জন্য নাচলেনও। এই বয়সেও মারাত্মক এনার্জি লেভেল। অবাক হতে হয়।
আলোড়ন সৃষ্টিকারী বাদশার ‘গেন্দা ফুল’ রিমিক্সে ইউটিউব ডেসক্রিপশনে উল্লেখ করা হয়েছিল না রতন কাহারের নাম। সে নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বাঙালি। বাদশার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন নেটাগরিকদের একটা বড় অংশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রতন কাহার সম্পর্কে বাদশা বলেছিলেন, আমি ওই গান রচয়িতার নাম খোঁজার চেষ্টা করেছি কিন্তু খুঁজে পাইনি। ২৬ মার্চ আমি জেনেছি রতন কাহারের নাম। আমি জানি উনি একজন মহান শিল্পী। শুনেছি তার অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল নয়। আমি তাকে সম্মান দিয়ে সাহায্য করতে চাই। পরবর্তীতে রতন কাহারকে অর্থসাহায্য করেছিলেন এ জনপ্রিয় র্যাপার।
এসব বিতর্কের মধ্যেও, বাদশা আছেন জেনেও কেন গান গাইতে রাজি হলেন রতন কাহার? বিক্রমের কথায়, আসলে আমার মনে হয়, নতুন কিছুর প্রতি আমাদের সবারই একটা আকর্ষণ থাকে। এই তবলা বিট মিক্সে একটা বড় অংশ জুড়ে থাকছেন উনি। যেটা আগের বার হয়নি। হয়তো সে জন্যই। টেকের পর টেক নিয়ে গিয়েছি। উনিও ক্লান্ত হননি।
জানা যায়, নতুন গানটির ভিডিওতে বাদশা-জ্যাকলিন থাকছেন মাত্র ১০ শতাংশ। আর বাকি ৯০ শতাংশ জুড়ে রতন কাহারের গান-নাচ, বিক্রম ঘোষের তবলা, ইমনের কণ্ঠ, সুগত’র লেখা, দেবলীনার মোহময়ী অবতার, মধুরার ক্যামেরা এবং অরিন্দম শীলের পরিচালনা।
আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। শারদীয় দুর্গাপূজার আগেই অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই আসতে চলেছে ‘গেন্দা ফুল’র তবলা বিট মিক্স।