কটেজ খালি নেই সাজেকে
মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছঃ
সাপ্তাহিক ছুটি ও বড় দিন মিলে টানা তিন দিন বন্ধে ইতিমধ্যে মেঘের রাজ্য সাজেকে সব কটেজ প্রায় শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। তবে ভোগান্তি এড়াতে অবশ্যই বুকিং নিশ্চিত করে সাজেক আসার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ভ্রমণপিপাসু মানুষ পাহাড় আর হ্রদঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাহাড় ভ্রমণে আসেন। রাঙামাটির সাজেক ভ্যালি ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। মেঘ পাহাড়ের লুকোচুরি উপভোগ করতে সারা বছর পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে এই স্থান। ছুটি পেলে এই সংখ্যা বেড়ে যায় বহুগুণে। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে বড় দিনের ছুটি যুক্ত হওয়ায় টানা তিন দিনের বন্ধে ইতিমধ্যে মেঘের রাজ্য সাজেকের ছোট-বড় সব কটেজ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এমনটা শুধু সাজেক নয়, একই চিত্র খাগড়াছড়ি শহরেও।
অত্যাধুনিক আলুটিলা, রিছাং ঝর্ণা ও সাজেক পর্যটকদের পছন্দ বেশি। ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে বিনোদনকেন্দ্রগুলো। পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
পর্যটকরা কেউ কেউ শহুরে যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে আসা পর্যটকরা মেঘের রাজ্য সাজেকের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যদিও সাজেক এখন কুয়াশার চাদরে আবৃত। ভিন্ন সাজেকে এই রূপ দেখতে কেউ ছুটছেন কংলাক পাহাড়ের চূড়ায় কেউবা হেলিপ্যাডে। প্রাণভরে উপভোগ করছেন কুয়াশা ভেদ করে ওঠা রক্তিম সূর্যের উদয় অস্ত। সঙ্গে মেঘ ও সূর্যের লুকোচুরি তো আছেই। প্রকৃতির এমন রূপে মুগ্ধ পর্যটকরা।
চট্টগ্রাম ও টাকা থেকে আসা একাধিক পর্যটক জানান, ইট পাথরের শহরে ও গাড়ি বাড়ির বহরে যখন হাঁপিয়ে উঠি তখন পরিবার পরিজন নিয়ে পাহাড়ে ঘুরতে আসি। পাহাড়ি প্রকৃতি আমাদের মুগ্ধ করে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক হাসানুল ইমাম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি নতুনরূপে সেজেছে খাগড়াছড়ির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা। তাই সোজা ভ্রমণে চলে আসা৷
সাজেকের খাস্রাং হিল রিসোর্টের ম্যানেজার সুব্রত চাকমা বলেন, সাপ্তাহিক ছুটি ও বড় দিন মিলে টানা তিন দিনের বন্ধে সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখন পর্যটকদের বরণের অপেক্ষার আছি। আমাদের রিসোর্টে সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদরের হোটেল মাউন্ট ইনের পরিচালক মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমাদের হোটেলের অধিকাংশ সিট ইতোমধ্যে বুকিং দেওয়া হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও বড়দিন উপলক্ষে খাগড়াছড়ি ও সাজেকে পর্যটকদের চাপ তুলনামূলক বেশি।
সম্প্রতি এক বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোঃ সহিদুজ্জামান বলেন, আলুটিলাকে বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমানে আরও অত্যাধুনিক করা হয়েছে। পর্যটকরা সাজেকের পাশাপাশি খাগড়াছড়িকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। পর্যটকদের আরও উদ্বুদ্ধ করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।