কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৩
রিয়াজুল হক সাগর/রংপুর প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা পর্যায়ের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রৌমারী উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সংগঠনটির জেলা সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম সবুজ বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন, যেখানে রৌমারী উপজেলায় নতুন কমিটি গঠনের কথা উল্লেখ ছিল। এই পোস্টের প্রেক্ষিতে পরদিন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। সেখানে উপস্থিত অপর গ্রুপের সদস্যরা সবুজের বিরুদ্ধে ‘প্রকল্প হাতিয়ে নেওয়ার’ অভিযোগ তোলেন। একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষে রূপ নেয় পরিস্থিতি।
সংঘর্ষে আহত হন জেলা সমন্বয়ক মেহেদী হাসান রনি, রশিদুজ্জামান রাফি এবং সাজেদুল ইসলাম সবুজ। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সমন্বয়ক রশিদুজ্জামান রাফি অভিযোগ করেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রভাব খাটিয়ে কাবিখা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করছেন। ৬টি ইউনিয়নে ৭ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যার কিছু অংশ ইতোমধ্যে উত্তোলন করা হয়েছে, অথচ কোনো বাস্তব কাজই হয়নি।”
মেহেদী হাসান রনি বলেন, “সবুজকে প্রকল্প সংক্রান্ত প্রশ্ন করায় তিনি ও তার সমর্থকরা আমাদের ওপর লাঠি দিয়ে হামলা করেন।”
অন্যদিকে সাজেদুল ইসলাম সবুজ বলেন, “রৌমারীতে এখনো সংগঠনের কোনো বৈধ কমিটি নেই। জেলা আহ্বায়কের নির্দেশে আমি ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে। বৃহস্পতিবার মতবিনিময় শেষে শহীদ মিনারের দিকে যাওয়ার সময় এক বড় ভাই রঞ্জু ইসলামের সঙ্গে রনির অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ করলে তারা আমার ওপর হামলা করে।”
এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুদ্দিন বলেন, “প্রকল্পগুলো ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। এ বিষয়ে তারাই দায়িত্বপ্রাপ্ত।”
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান জানান, “এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”