ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo তাড়াইলে ধলা ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনুক গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে চবি চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা Logo কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত Logo খাগড়াছড়িতে আ.লীগের মিছিল: সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা Logo প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার Logo রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ Logo নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি Logo ত্যাগ, নৈতিকতা নাকি দলীয় বলয়; কিশোরগঞ্জের ফাঁকা দুই আসনে কোন পথ বেছে নেবে রাজনীতি? Logo নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র: ক্ষমতার লোভে পেয়েছে উপদেষ্টাদের Logo খাগড়াছড়ি কারাগার থেকে পালিয়েছে দুই আসামি

কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ০৩:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮৮২ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ শহরের রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে যানজটের কবলে। পৌরসভার অনুমোদিত ৬০০টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার স্থলে বর্তমানে ছয় হাজারেরও বেশি চলাচল করছে। ফুটপাত দখল করে হকারদের ব্যবসা, রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি এবং অবৈধ পার্কিং শহরের চলাচলকে প্রায় অচল করে তুলেছে।

এই বিশৃঙ্খল নগরচিত্র নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান নিজে মাঠে নেমে নেতৃত্ব দিচ্ছে টেকসই নগরায়নের অভিযানে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গৌরাঙ্গবাজার, রেলওয়ে স্টেশনসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারী হকারদের দোকান সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনুমোদিত অটোরিকশা ছাড়া পৌরসভার বাহিরের ইজিবাইক ও রিকশার প্রবেশ নিষিদ্ধসহ শহরের ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রবেশ নিষিদ্ধ সাইনবোর্ড স্থাপনের উদ্বোধন করেন। পরে জেলা প্রশাসক রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করে টিকিট কালোবাজারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, যানজট কেবল সময়ের অপচয় নয়, এটি নাগরিক জীবনের মানও কমিয়ে দেয়। শহরকে সবার জন্য চলাচলযোগ্য রাখতে আমাদের সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। ফুটপাত পথচারীর জন্য, ব্যবসা বা পার্কিংয়ের জন্য নয়।

পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহরের যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে অটোরিকশার স্ট্যান্ডগুলো নতুনভাবে নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া পৌর শহরের বাহিরের কোনো ইজিবাইক বা অটোরিকশা যেন পৌরসভার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না, তা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি থাকবে।

শহরবাসী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।পৌরসভার বাসিন্দা  সোহেল চৌধুরি বলেন, ডিসি ম্যাডামের নেতৃত্বে যদি এই শৃঙ্খলা স্থায়ীভাবে বজায় থাকে, তবে কিশোরগঞ্জ সত্যিকারের আধুনিক শহরে পরিণত হবে।

অভিযানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পৌরসভার কর্মকর্তারা অংশ নেন।

কিশোরগঞ্জ শহরে অটোরিকশার যানজট ও ফুটপাত দখল ভাঙতে মাঠে নামলেন ডিসি ফৌজিয়া খান

আপডেট সময় : ০৩:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

কিশোরগঞ্জ শহরের রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে যানজটের কবলে। পৌরসভার অনুমোদিত ৬০০টি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার স্থলে বর্তমানে ছয় হাজারেরও বেশি চলাচল করছে। ফুটপাত দখল করে হকারদের ব্যবসা, রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি এবং অবৈধ পার্কিং শহরের চলাচলকে প্রায় অচল করে তুলেছে।

এই বিশৃঙ্খল নগরচিত্র নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান নিজে মাঠে নেমে নেতৃত্ব দিচ্ছে টেকসই নগরায়নের অভিযানে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে গৌরাঙ্গবাজার, রেলওয়ে স্টেশনসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে অবৈধভাবে ফুটপাত দখলকারী হকারদের দোকান সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনুমোদিত অটোরিকশা ছাড়া পৌরসভার বাহিরের ইজিবাইক ও রিকশার প্রবেশ নিষিদ্ধসহ শহরের ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রবেশ নিষিদ্ধ সাইনবোর্ড স্থাপনের উদ্বোধন করেন। পরে জেলা প্রশাসক রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করে টিকিট কালোবাজারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, যানজট কেবল সময়ের অপচয় নয়, এটি নাগরিক জীবনের মানও কমিয়ে দেয়। শহরকে সবার জন্য চলাচলযোগ্য রাখতে আমাদের সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। ফুটপাত পথচারীর জন্য, ব্যবসা বা পার্কিংয়ের জন্য নয়।

পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহরের যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে অটোরিকশার স্ট্যান্ডগুলো নতুনভাবে নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া পৌর শহরের বাহিরের কোনো ইজিবাইক বা অটোরিকশা যেন পৌরসভার ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না, তা নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি থাকবে।

শহরবাসী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।পৌরসভার বাসিন্দা  সোহেল চৌধুরি বলেন, ডিসি ম্যাডামের নেতৃত্বে যদি এই শৃঙ্খলা স্থায়ীভাবে বজায় থাকে, তবে কিশোরগঞ্জ সত্যিকারের আধুনিক শহরে পরিণত হবে।

অভিযানে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পুলিশ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পৌরসভার কর্মকর্তারা অংশ নেন।