দীর্ঘদিন ধরেই জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসকারী উইঘুর মুসলিমদের উপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে চীন। জোর করে বন্দিশিবিরে আটকে রাখার পাশাপাশি উইঘুর নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালানোর অভিযোগও রয়েছে। এমনকি জোর করে নারীদের গর্ভপাত করানোর খবরও সামনে এসেছে। এবার চীনের বিরুদ্ধে জিনজিয়াং প্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তের বন্দিশিবিরে থাকা উইঘুর মুসলিমদের চুল কেটে নিয়ে তা বিদেশে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
বেশ কিছু মানবাধিকার সংস্থা এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, চীন সম্ভবত উইঘুর মুসলিমদের চুল কেটে বিভিন্ন দেশে বিক্রি করছে। যদিও এই বিষয়টি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
তবে এমন অভিযোগ ওঠার পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ চীন থেকে মানুষের চুল রফতানি করা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কয়েক মাস ধরে চীন জিনজিয়াংয়ের বন্দিশিবিরে থাকা উইঘুর মুসলিমদের মাথা ন্যাড়া করিয়ে দিচ্ছে।
ইরানের পরমাণু চুক্তিকে সমর্থন চীনের
ওই বন্দিশিবিরে থাকা এক ব্যক্তি তাদের উপর হওয়া অকথ্য নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। জোর করে সেখানকার বন্দিদের চুল কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরপরই জানা যায় যে, এসব চুল ব্যবহারের উপযুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্রি করছে চীন। এমন খবর সামনে আসতেই যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ চীন থেকে আমদানি করা মানুষের চুল দেশে প্রবেশের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
গত জুন মাসে মোট ১৩ টন চুল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই চীনের বেশ কয়েকটি কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে ওয়াশিংটন।
যুক্তরাষ্ট্রে মানুষের চুলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। শুধু ২০১৮ সালেই আড়াই বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা হয়েছে দেশটিতে। এর মধ্যে বেশিরভাগই চীন থেকে আমদানি করা হয়েছিল। ২০১৭ সাল থেকেই চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কের চুল যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হচ্ছিল।