চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা বিধি-নিষেধ চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী সাত গ্রামে
জেলা প্রতিনিধিঃ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা এলাকার সাত গ্রামে আজ বুধবার থেকে জন সাধারনের চলাচলের উপর কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ বিধি- নিষেধ জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান।
এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে কঠোর নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যাতে কোন ভারতীয় ও বাংলাদেশী বিশেষ করে কৃষক সীমান্তবর্তী মাঠে কাজ করার সময় পরস্পর গল্প-গুজব না করতে পারে।
এ ছাড়াও সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে যেন ভারতীয়রা ঢুকতে না পারে সে জন্য বিজিবির টহল বাড়ানো ও সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফট্যান্যান্ট কর্নেল মোহাম্মামদ খালেকুজ্জামান।
গ্রামগুলো হলো-মুন্সিপুর, কুতুবপুর, জাহাজপোতা,হুদাপাড়া,শিবনগর, হরিরামপুর ও পীরপুরকুল্লা। এ গ্রামগুলোর গুরুত্বপূর্ন রাস্তায় বাঁশ ও গাছের গুড়ি ফেলে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও সার্বক্ষনিক পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে।
শিবনগর তালসারি মোড়, কার্পাসডাঙ্গা-ঠাকুরপুর সড়ক, কার্পাসডাঙ্গা- কুতুবপুর সড়ক, কার্পাাডাঙ্গা-মিশনপাড়া সড়ক, নাটুদহের গোচিয়া পাড়া মোড় ও ফকিরপাড়া মোড়ে বাঁশও কাঠের গুড়ি দিয়ে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিবনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশে ক্যাম্পইনে ৫৫ জনের নমুনা র্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এর মধ্যে ৮ জন পজিটিভ পাওয়া গেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী
মুনছুর বাবু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, কর্মকর্তা ডাঃ আবু হেনা মোস্তফা জামাল শুভ, এসিল্যান্ড সুদীপ্ত কুমার সিংহ, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আব্দুল খালেক ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান।
দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, কর্মকর্তা ডাঃ আবু হেনা মোস্তফা জামাল শুভ জানান, পজিটিভ রোগিদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রত্যেকের নমুনা আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য। ইউএনও দিলারা রহমান জানান, দামুড়হুদা উপজেলায় ৫৫ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৪০ জনই কার্পাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। সীমান্তবর্তী এই ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম ঝুঁকিপূর্ন এলাকা শিবনগর।
অথচ এই এলাকার অসংখ্য মানুষের মধ্যে করোনা উপসর্গ থাকলেও তারা কোন রকম করোনা টেস্ট না করেই সবার সংস্পর্শে যাচ্ছেন। এসব এলাকার প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। অন্যথায় মোবাইল কোর্টের
মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কার্পাসডাঙ্গা এলাকার সকল চুল প্রসেসিং করাখানাগুলো জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আগামী এক মাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, বিধি-নিষেধ সংশিষ্ট এলাকায় অসচ্ছল পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে। তিনি করোনা সংক্রমন রোধে সীমান্ত এলাকার সকলকে মাস্ক পরিধান ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্য বিধি পুরোপুরি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন।