DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ২৭শে জুলাই ২০২৪
ঢাকাশনিবার ২৭শে জুলাই ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

জনগণের জীবনমানের উন্নতির জন্য সরকার কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

News Editor
অক্টোবর ১২, ২০২০ ৯:৫৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধিতা অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রচেষ্টাকে সার্থক করতে হলে দুর্যোগ মোকাবিলা বিষয়ে সবার সচেতনতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, দুর্যোগের কারণে আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতি প্রশমনের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য কর্মসূচিও সরকার বাস্তবায়ন করছে।

মেডিকেলের প্রশ্নপত্র ফাঁস: রিমান্ড শেষে কারাগারে মূল হোতা ছালাম

সবার সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাকে টেকসই করতে দুর্যোগ মোকাবিলার বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাই সচেতন থাকবেন প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একযোগে কাজ করার মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।

শেখ হাসিনা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় দেশব্যাপী ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০ উদযাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন, নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’ যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

জাতি পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি প্রণয়নের পথিকৃৎ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে তিনিই প্রথম ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় ‘মুজিব কিল্লা’ নির্মাণ করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ প্রতিষ্ঠা করেন।

জাতির পিতার আদর্শের অনুসরণে আওয়ামী লীগ সরকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ থেকে জনগণের জানমাল রক্ষায় তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি অংশীজনের দায়দায়িত্ব নির্দিষ্ট করে ১৯৯৭ সালে আমরাই ‘প্রথম স্ট্যান্ডিং অরডার্স অন ডিজাস্টার’ প্রণয়ন করি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বে প্রশংসিত এ দলিলটি ২০১৯ সালে হালনাগাদ করা হয়েছে যেখানে বজ্রপাত, পাহাড় ধস, ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড, রাসায়নিক দুর্যোগ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনাসহ সবার করণীয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন :  রাতের মধ্যে সারাদেশে চালু হবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট : পলক

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ব প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কারণে আজ প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি নূন্যতম পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, সম্পদ, সম্ভাবনাকে বিবেচনায় নিয়ে প্রণীত ১০০ বছরের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ এ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের জনগণকে উন্নয়নের অংশীদার করে তাদের জীবনমানের উন্নতির জন্য সরকার কাজ করছে। প্রতিটি গৃহহীন মানুষকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। গ্রামে শহরের সুবিধা পৌঁছানোর লক্ষ্যে গ্রামীণ অবকাঠামো টেকসইভাবে নির্মাণের জন্য সম্প্রতি ৫৭৮৫ কিলোমিটার হেরিংবোন বন্ড রাস্তা, ২৬,৩৩১টি সেতু-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩২০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৬৪ জেলায় ৬৬টি জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র স্থাপন এবং ৫৫০টি মুজিব কেল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আমরা বিশেষ কর্মসূচি চালু করেছি। এজন্য এরইমধ্যে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের মানুষকে বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদানসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়া স্বল্প আয়ের লোকদের জন্য গত পাঁচ মাস যাবৎ খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা চালু রয়েছে। এসব জনবান্ধব কর্মসূচি বাস্তায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় সরকার সচেষ্ট আছে।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৫৯
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৪৯
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪
  • ১২:০৮
  • ৪:৪৩
  • ৬:৪৯
  • ৮:১১
  • ৫:২৪