চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত চান্দু মিয়াকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নগরের পতেঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ।
গ্রেফতার চান্দু মিয়া নগরের ডবলমুরিং থানার বরখাস্ত হওয়া উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলালের সোর্স হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন।
এ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় এক তরুণীসহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করা হলো। বাকিরা হলেন- কথিত বান্ধবী নুরী আক্তার (২০) ও তার স্বামী মো. অন্তর (২২) এবং রবিন হোসেন (২২) নামে আরেক যুবক।
পুলিশ জানায়, চান্দু মিয়ার চারতলা বাড়িতে ভাড়া থাকেন নুরী ও তার স্বামী। নুরী আগে থেকে চান্দুকে অসামাজিক কাজে সহযোগিতা করে আসছিল। ধর্ষণের শিকার তরুণী সপ্তাহখানেক আগে ফেনী থেকে নগরীর আগ্রাবাদে সিডিএ আবাসিক এলাকায় চাচার বাসায় বেড়াতে আসেন। তার চাচাতো বোনের বান্ধবী নুরী। সেই সুবাদে নুরীর সঙ্গেও ওই তরুণীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। রোববার সন্ধ্যায় নুরী ওই তরুণীকে তার বাসায় বেড়াতে নিয়ে যান। রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে নুরী কৌশলে তাকে চান্দুর বাসায় পৌঁছে দেন। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পাহারায় ছিলেন নুরী। এরপর চান্দু মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনার পর ওই তরুণী চাচার বাসায় পৌঁছে ঘটনার বিষয়ে সবকিছু খুলে বলেন। তখন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেয়া হয়। সেখান থেকে ডবলমুরিং থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে রোববার রাতেই ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।