ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক শিক্ষার্থী উলফাত আরা তিন্নির মৃত্যুর ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জামিরুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার তিন্নির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত মেলেনি বলে জানান কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরএমও ডা. তাপস কুমার সরকার।
ওই সময় তিনি বলেন, তিন্নির ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আর এটি ছিল আত্মহত্যা। চিকিৎসকরা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছেন।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার: আইনমন্ত্রী
এর আগে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) রাতে বড় বোন মিন্নির সাবেক স্বামী একই গ্রামের কনুরুদ্দীনের ছেলে জামিরুল তিন্নিদের বাড়িতে দুই দফা প্রবেশ করে হামলা-ভাঙচুর ও তিন্নির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে রাত ১২টার দিকে শোয়ার ঘর থেকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তিন্নির মরদেহ উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা।
পরিবারের দাবি, তিন্নি ধর্ষণের শিকার হয়ে লজ্জা ও ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাতে তিন্নির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
তিন্নী ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মৃত. ইউসুফ আলীর মেয়ে।