ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস

দুর্নীতির মামলায় গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জেলে

News Editor
  • আপডেট সময় : ১২:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
  • / ১০৬৫ বার পড়া হয়েছে

দুর্নীতির মামলায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মীর শফিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০১৮ সালে গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ উমরুল হক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুর্নীতির মামলাটি করেন। আদালতের নির্দেশে দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন মামলাটি তদন্ত করে গত ২২ মার্চ অভিযোগপত্র দেন। এতে ৭২ লাখ ৪২ হাজার ৭৩০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি বন্ধ

সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বলেন, গত ১২ অক্টোবর আদালত চার্জশিট আমলে নেয়। গতকাল মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে শিক্ষক নিয়োগেও তিনি অনিয়ম করতেন। রেজুলেশন ছাড়া উন্নয়ন খাতের টাকা উত্তোলন ও টাকা খরচের অনিয়ম করেছেন। এছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে গোদাগাড়ী কলেজের একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে- সেটিও তিনি নিজেই পরিচালনা করতেন। এ হিসাব থেকে ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ। এ নিয়ে কলেজে আলোচনা শুরু হলে ২০১৯ সালে স্ত্রী নাহিদা সুলতানাকে এ হিসাবের নমিনি করে দেন তিনি; যা নিয়ম বহির্ভূত। এটিকে তিনি ব্যক্তিগত হিসাব বলে চালানোর চেষ্টা করেন।

মামলার বাদী কলেজের উপাধ্যক্ষ উমরুল হক জানান, বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও নানান অভিযোগে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন। অধ্যক্ষ মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তারেক আজিজকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চেকের মাধ্যমে ৯ লাখ টাকা এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।

দুর্নীতির মামলায় গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জেলে

আপডেট সময় : ১২:২০:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

দুর্নীতির মামলায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক মীর শফিকুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০১৮ সালে গোদাগাড়ী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ উমরুল হক অধ্যক্ষ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দুর্নীতির মামলাটি করেন। আদালতের নির্দেশে দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন মামলাটি তদন্ত করে গত ২২ মার্চ অভিযোগপত্র দেন। এতে ৭২ লাখ ৪২ হাজার ৭৩০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে আলু বিক্রি বন্ধ

সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের আইনজীবী বজলে তৌহিদ আল হাসান বলেন, গত ১২ অক্টোবর আদালত চার্জশিট আমলে নেয়। গতকাল মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করেন। তবে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে শিক্ষক নিয়োগেও তিনি অনিয়ম করতেন। রেজুলেশন ছাড়া উন্নয়ন খাতের টাকা উত্তোলন ও টাকা খরচের অনিয়ম করেছেন। এছাড়া রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে গোদাগাড়ী কলেজের একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে- সেটিও তিনি নিজেই পরিচালনা করতেন। এ হিসাব থেকে ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ। এ নিয়ে কলেজে আলোচনা শুরু হলে ২০১৯ সালে স্ত্রী নাহিদা সুলতানাকে এ হিসাবের নমিনি করে দেন তিনি; যা নিয়ম বহির্ভূত। এটিকে তিনি ব্যক্তিগত হিসাব বলে চালানোর চেষ্টা করেন।

মামলার বাদী কলেজের উপাধ্যক্ষ উমরুল হক জানান, বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাৎ ছাড়াও নানান অভিযোগে তিনি মামলাটি দায়ের করেছিলেন। অধ্যক্ষ মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তারেক আজিজকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চেকের মাধ্যমে ৯ লাখ টাকা এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন।