বাংলাদেশের ইলিশের খ্যাতি তার অসাধারণ স্বাদ ও গন্ধের কারণে। তবে এর পুষ্টিগুণও যথেষ্ট। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, ইলিশে রয়েছে পর্যাপ্ত প্রোটিনের পাশাপাশি ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড যা রক্তের কোলেষ্টরেল কমিয়ে হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে। ইলিশে রয়েছে শিশুদদের মেধাবর্ধক উপাদান ডেকাসো হেক্সানয়েড এসিড। এ ছাড়াও রয়েছে, আয়োডিন, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, নিয়াসিন, ট্রিপ্টোফ্যান, ভিটামিন বি-১২ ভিটামিন ডি, জিংক জাতীয় উপকারী খাদ্য উপাদান।
এ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিজ্ঞানী ড: মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইলিশ মাছে যে আন-সেচুরেটেড ফ্যাট থাকে তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া, ইলিশ মাছে রয়েছে আরজেনিন থাকে যা হাঁপানি রোগীর জন্য উপকারী।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের ইলিশ কিনে ফেসবুক মাতাচ্ছেন কলকাতাবাসি
গত ১০ বছরে দেশে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। তথ্যানুযায়ী ২০০৭-০৮ অর্থবছরের দেশে ইলিশ উৎপাদন ছিল মাত্র ২ লাখ ৯০ হাজার টন। যা গতবছর (২০১৯ সালে) পাঁচ লাখ টন ছাড়িয়েছে।
এদিকে, ওয়ার্ল্ডফিশ, মৎস্য অধিদফতর ও মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এবার শুধু পরিমাণের দিক থেকেই নয়, আকৃতির দিকে থেকেও কোনও দেশ বাংলাদেশের ইলিশের ধারেকাছে নেই।
চলতি মৌমুমে বরিশাল অঞ্চলের নদনদীতে ধরা পরছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। নদী সাগরে ইলিশ প্রচুর ধরা পরার কারণে ইলিশের বাজারদরও কম। এ বছর বরিশাল অঞ্চলে ৩,৫০,০০০ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপন্ন হবার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে মৎস বিভাগ।
মৎস্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ডফিশের ইকো-ফিশ প্রকল্পের দলনেতা বিশিষ্ট ইলিশ গবেষক আবদুল ওহাব বলেছেন, বিষখালির ইলিশের সুখ্যাতি আছে। ইলিশের দুটি ভান্ডার বঙ্গোপসাগর ও পদ্মা-মেঘনার ইলিশ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। বিষখালির ইলিশ নিয়ে গবেষণা হলে আরেকটি নতুন বৈশিষ্ট্যের ইলিশ ভান্ডারের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।