ফিফা প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক পরিবেশ কাজে লাগিয়ে নেপালকে চমকে দিতে চায় বাংলাদেশ। আর সে কারণেই, মাঠে দর্শক উপস্থিতি চান ফুটবলাররা। জানিয়েছেন মামুনুল ইসলাম। এছাড়া, দলে জায়গা পেতে হলে ফিটনেস এবং স্কিল ছাড়াও জামাল ভূঁইয়ার মতো বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য আরো মেলে ধরতে হবে তারিক কাজীকে, এমনটাই মনে করেন মামুনুল।
তিন দিন পর আবারো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবলাররা। ম্যাচের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ফিটনেস টেস্টের পরিমাণ। আর ফুটবলাররাও, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের গুছিয়ে নিতে।
অবশেষে নিষেধাজ্ঞামুক্ত সাকিব আল হাসান
ধারাবাহিকভাবে এদিনও শুরুটা হয় ওয়ার্মআপ দিয়ে। হালকা স্ট্রেচিংয়ের পর চলে উইথ বল ট্রেনিং। পরে রানিং দিয়ে শেষ হয় অনুশীলন পর্ব।
নেপাল ম্যাচের আগে নিজেদের পুরোপুরি ফিট করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সবাই। কিন্তু, খালি গ্যালারিতে ম্যাচ খেলার প্রতি খুব একটা আগ্রহী নন তারা। প্রতিপক্ষকে স্বাগতিক পরিবেশের চাপে ফেলে চমকে দিতে চান জেমি শিষ্যরা। আশা স্বল্প পরিসরে হলেও মাঠে আসার অনুমতি পাবেন সমর্থকরা।
ফুটবলার মামুনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ফিট। তবে আর কিছুদিন গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দিন শেষে আমাদের জিততে হলে স্বাগতিক পরিবেশের সুবিধা নিতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন মাঠ ভর্তি দর্শক। করোনার কারণে মাঠ পূর্ণ না হলেও, স্বল্প পরিসরে সমর্থকদের মাঠে আসতে দেয়া উচিত।’
দলে এখন অনেক খেলোয়াড়। স্কিল আর টেম্পারমেন্টে সবার পার্থক্যটাও বেশ কম। তাই জায়গা পেতে হলে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই কারো সামনেই। আর সেটা যদি হয় প্রবাস থেকে আসা তারিক কাজীর মতো খেলোয়াড়, তাহলে চ্যালেঞ্জটা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই বলে মনে করেন জাতীয় দলের সিনিয়র এ সদস্য।
ফুটবলার তারিক কাজী জানান, ‘আমি ভালো আছি। দলের সবাই আমাকে খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। এটা আমার প্রথম সুযোগ। খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। জানি, জায়গা পাওয়া সহজ হবে না, তবে আমি প্রস্তুত।
আগামী সপ্তাহ থেকে জেমি ডে’র অধীনে স্কিল ট্রেনিং শুরু করবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল।