গেল ৭০ দিনের মধ্যে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে গেলেও, নেপালের বিপক্ষে মাঠে দর্শক প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন বিধি-নিষেধ নেই বাফুফের। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার পুরোনো প্রতিশ্রুতির মাঝেই দায় সারতে চায় ফেডারেশন। তবে এবার স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় স্টেডিয়ামে অধিক সংখ্যক লোকবল কাজ করবে বলে জানান বাফুফে সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে দর্শকদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
দীর্ঘদিন পর মাঠে গড়ানো বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচ উপভোগ করতে মাঠে হুমড়ি খেয়ে পড়ে দর্শক। করোনা ভয়াবহতার কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে মেতে উঠে ফুটবল আনন্দে। যাতে চরমভাবে উপেক্ষিত হয় স্বাস্থ্যবিধি। যদিও বাফুফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি পাবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব!
প্রথম ম্যাচে অব্যাবস্থাপনার পরও দ্বিতীয় ম্যাচে ফেডারেশন যখন মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে, তখন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রিপোর্ট বলছে, দেশে করোনা সংক্রমন পৌঁছেছে গেল ৭০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে। তবুও টনক নড়েনি কর্তা ব্যক্তিদের।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, সবাই সমন্বিতভাবে চেষ্টা করলে করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব। আমরা নেপাল ম্যাচের জন্য বাড়তি লোক কাজে লাগাবো। এছাড়াও স্টেডিয়ামের ভেতরে অতিরিক্ত ভলান্টিয়ার কাজ করবে।
এদিকে, টিকিট না পেয়ে ফুটবল সমর্থকদের একটি পক্ষ এদিন সমাবেশ করে বাফুফে ভবনের সামনে। তাদের দাবি, বাড়ানো হোক টিকিট সংখ্যা।
ব্রাজিল ম্যাচের আগে করোনায় আক্রান্ত সুয়ারেজ
একজন ভক্ত বলেন, দর্শকরাই খেলার প্রাণ। তারা মাঠে এসে যদি টিকিট না পেয়ে ফেরত যায়, তাহলে এটা ফুটবলেরই ক্ষতি হবে।
আরেকজন বলেন, প্রথম ম্যাচে অব্যাবস্থাপনা ছিলো। বাফুফে ৮ হাজার টিকিট দিয়েছে, কিন্তু দর্শক ছিলো ১৬ হাজারের মত। এটা মোটেও ঠিক হয়নি।
অন্য একজন সমর্থক বলেন, বাফুফেকে আরো দায়িত্ব নিতে হবে। স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে দর্শকরা যাতে নির্বিঘ্নে খেলা দেখতে পারে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, এ জন্য অতিরিক্ত ভলান্টিয়ার নিয়োগ দিতে হবে।
তবে বাফুফের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়, এই ম্যাচের জন্যও বরাদ্দ থাকবে ৮ হাজার টিকিট।
আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘টিকিট বাড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই। প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ৮ হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। আমরা দর্শকদের সহযোগিতা চাই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে খেলা দেখা তাদেরও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।’
খেলাধুলা সমর্থকদের কাছে আবেগের, ভালোবাসার। তবে আবেগ প্রাধান্য দিতে গিয়ে জীবন হুমকির মুখে ফেলা অবশ্যই অনুচিত। সেটা নিশ্চয়ই দর্শকরা উপলব্ধি করবেন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।