DoinikAstha Epaper Version
ঢাকাশনিবার ২৭শে জুলাই ২০২৪
ঢাকাশনিবার ২৭শে জুলাই ২০২৪

আজকের সর্বশেষ সবখবর

পূর্বে বেচতেন পর্ন সিডি, এখন বেচেন অবৈধ মদ!

News Editor
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০ ৭:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রেস্টুরেন্টের মালিক মেহেরুন সারা মনসুর। একই ঠিকানায় বারের লাইসেন্স সফিউল্লাহ আল মুনিরের নামে। অবৈধ বিদেশি মদ ও শিসা রাখায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের পর বার মালিক মুনীরের বিরুদ্ধে মামলা না করে রেস্টুরেন্ট মালিককে আসামি করা হয়েছে।

অথচ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমাই এই ঠিকানায় বারের লাইসেন্স দিয়েছিলেন।

স্বর্ণের বাজার এখন একপ্রকার জুয়ার আখড়ায় পরিণত হয়েছে

গুলশানের হর্স অ্যান্ড হর্স রেস্টুরেন্ট। মালিক মেহেরুন সারা মনসুর। ৩ বছর ধরে তিনি ব্যবসা করে আসছিলেন। দুই মাস আগে তার সঙ্গে ব্যবসায়িক পার্টনার হন সফিউল্লাহ আল মুনির। মুনিরের, বার লাইসেন্স থাকায় রেস্টেুরেন্টের সঙ্গে যুক্ত হয় বারও।

বুধবার রাতে হর্স অ্যান্ড হর্স রেস্টেুরেন্টে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, বিয়ার ও শিসা জব্দ করা হয়। মামলার আসামি করা হয় রেস্টুরেন্ট মালিক মেহেরুন সারা মনুসুরসহ ৩ জনকে। আসামি কর্মচারী রাশেদ ও নাহিদকে তাৎক্ষণিক গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বার লাইসেন্সের মালিক সফিউল্লাহ আল মুনিরকে আসামি করা হয়নি।

রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা জানান, মেহেরুন সারাকে ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশে হাসিল করে আসছিলেন মুনীর। তাদের অভিযোগ, মুনীরকে বাঁচিয়ে দিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, মাত্র এক মাসের মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স, বার লাইসেন্স ও সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন পেয়ে যান শফিউল্লাহ আল মুনীর। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুকুল জ্যোতি চাকমার স্বাক্ষরে বার লাইসেন্স পান মুনীর। ঐ একই কর্মকর্তা অভিযানে নেতৃত্ব দিলেও মুনীরকে আসামি করেননি।

মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুকুল জ্যোতি চাকমা বলেন, বিষয়তা এমনই হতে পারে সেখানে দুই ব্যবসা হতে পারে। একই ফ্লোরে অনেক ব্যবসা তো হতেই পারে।

২০০৮ সালে পর্ন সিডিসহ আটক হয়েছিলেন মুনির। ব্যবসায়ী পরিচয়ের পাশাপাশি কৌশলে তিনি ক্রীড়া সংগঠক বনে যান। ছিলেন হকি ফেডারেশনের সহ সভাপতি। বর্তমানে সাইক্লিংসহ আরো কয়েকটি ফেডারেশেনের সঙ্গে জড়িত। ক্রীড়া সংগঠনের আড়ালে তার বিরুদ্ধে বহু প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

চেক জালিয়াতির একটি মামলায় বর্তমানে কারাগারে থাকায় শফিউল্লাহ আল মুনিরের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
সেহরির শেষ সময় - ভোর ৩:৫৯
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৬:৪৯
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪
  • ১২:০৮
  • ৪:৪৩
  • ৬:৪৯
  • ৮:১১
  • ৫:২৪