ঢাকা ০৫:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo আইনজীবী ও বিএনপি নেতার নাম জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের ক্ষোভ Logo ইরানকে সহায়তা করায় ভারতীয়সহ ৩২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা Logo খাগড়াছড়িতে ১৮ বছর পর ধানের শীষের পথ সভায় ওয়াদুদ ভূইয়া Logo নতুন করে পদায়ন করা হলো আরও ৯ ডিসি Logo বাংলাদেশের ১১ জেলাকে সংযুক্ত করে বানাতে চায় ‘গ্রেটার ত্রিপুরা ল্যান্ড’ Logo সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে ভারত-মিয়ানমার, বাংলাদেশ করছে প্রত্যাহার! Logo আ.লীগের আগ্রাসনের প্রতিবাদে পানছড়িতে যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল Logo তাড়াইলে ধলা ইউপি চেয়ারম্যান ঝিনুক গ্রেফতার Logo কিশোরগঞ্জে চবি চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা Logo কিশোরগঞ্জে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি,মাথা গোঁজার ঠাঁই চান মুক্তিযোদ্ধা বিপ্লব

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১০৭৮ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহের মুক্তিযোদ্ধা বিপ্লব ঘোষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাসগৃহের জন্য আকুতি জানিয়েছেন। একাত্তরের এই লড়াকু যোদ্ধা এখন মানসিক ভারসাম্যহীন। মুক্তিযোদ্ধা বিপ্লব ঘোষ আর্থিক কোনো সহযোগিতা না চেয়ে শেষ বয়সে শুধু মাথা গোঁজার একটু আশ্রয় কামনা করছেন। তিনি কিছুদিন আগে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর এই আবেদন করেছেন।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পরিবার ও স্থানীয়রা জানানÑ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিপ্লব ঘোষ। তিনি ঝিনাইদহ পৌর এলাকার চাকলাপাড়ার মৃত  গৌর পদ ঘোষের বড় ছেলে। তার নেই কোনো থাকার ঘর। জাতির সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি সারাজীবন ছোট ভাই সন্তোষ কুমার ঘোষ ওরফে বাবলু ঘোষের জায়গায় বসবাস করে আসছেন।

হঠাৎ চালের দাম বেড়েছে

আরও জানা যায়, দেশকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার কিছুদিন পর বিপ্লব ঘোষ পড়াশোনার পাশাপাশি সংগীতচর্চা শুরু করেন। কিন্তু কলেজে অধ্যয়নের একপর্যায়ে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ওই সময় পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৯০ সালে আবারও তিনি একই সমস্যায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিছুটা সুস্থ হন। কিন্তু এরপর একপর্যায়ে তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। বর্তমানে ভারতের একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

পরিবারের মাধ্যমে মুঠোফোনে মুক্তিযোদ্ধা বিপ্লব ঘোষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিজের ঘরে মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই চাই, কোনো আর্থিক সাহায্য নয়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক আহমেদ বলেন, বিপ্লব ঘোষ একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি দেশের জন্য অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা পর্যায়ক্রমে বাসস্থান পাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি,মাথা গোঁজার ঠাঁই চান মুক্তিযোদ্ধা বিপ্লব

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ঝিনাইদহের মুক্তিযোদ্ধা বিপ্লব ঘোষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাসগৃহের জন্য আকুতি জানিয়েছেন। একাত্তরের এই লড়াকু যোদ্ধা এখন মানসিক ভারসাম্যহীন। মুক্তিযোদ্ধা বিপ্লব ঘোষ আর্থিক কোনো সহযোগিতা না চেয়ে শেষ বয়সে শুধু মাথা গোঁজার একটু আশ্রয় কামনা করছেন। তিনি কিছুদিন আগে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর এই আবেদন করেছেন।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পরিবার ও স্থানীয়রা জানানÑ ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিপ্লব ঘোষ। তিনি ঝিনাইদহ পৌর এলাকার চাকলাপাড়ার মৃত  গৌর পদ ঘোষের বড় ছেলে। তার নেই কোনো থাকার ঘর। জাতির সূর্যসন্তান মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি সারাজীবন ছোট ভাই সন্তোষ কুমার ঘোষ ওরফে বাবলু ঘোষের জায়গায় বসবাস করে আসছেন।

হঠাৎ চালের দাম বেড়েছে

আরও জানা যায়, দেশকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার কিছুদিন পর বিপ্লব ঘোষ পড়াশোনার পাশাপাশি সংগীতচর্চা শুরু করেন। কিন্তু কলেজে অধ্যয়নের একপর্যায়ে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ওই সময় পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ করা হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৯০ সালে আবারও তিনি একই সমস্যায় ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিছুটা সুস্থ হন। কিন্তু এরপর একপর্যায়ে তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। বর্তমানে ভারতের একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

পরিবারের মাধ্যমে মুঠোফোনে মুক্তিযোদ্ধা বিপ্লব ঘোষের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিজের ঘরে মাথা গোঁজার একটু ঠাঁই চাই, কোনো আর্থিক সাহায্য নয়। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক আহমেদ বলেন, বিপ্লব ঘোষ একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তিনি দেশের জন্য অকুতোভয় সৈনিক ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা পর্যায়ক্রমে বাসস্থান পাবেন।