ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo কিশোরগঞ্জে হাতপাখা প্রতীকের সমর্থনে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা Logo খাগড়াছড়িতে রোকেয়া দিবসে “অদম্য নারী সম্মাননা” পেলো ৩ নারী Logo নাইক্ষ্যংছড়িতে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ Logo কিশোরগঞ্জে-১ আসনে কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী এনামুল হকের সমর্থনে গণমিছিল  Logo পানছড়িতে পিসিসিপি’র শীতবস্ত্র বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াত প্রার্থীর গনসংযোগ ও মতবিনিময় Logo পানছড়িতে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় চোরাই পণ্য আটক Logo চাঁদা না দেওয়ায় বাড়ি নির্মাণে বাধা, ভূমি দখলচেষ্টা ও হত্যার হুমকির Logo ইকরা গার্মেন্টসের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo আবার মাইনাস তৎপরতায় ডিপ স্টেট: মাসুদ কামাল

ফজরের নামাজের ফজিলত ও পুরস্কার

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১০৬৮ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজেরই আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কিছু ফজিলত দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম ফজরের সালাত।

নামাজ কায়েম করো সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং কায়েম করো ফজরের নামাজ। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজ উপস্থিতির সময়। (সূরা: বনি ইসরাঈল, আয়াত: ৭৮ (দ্বিতীয় পর্ব)।

নামাজের মধ্যে যেমন ফজরের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব, তেমনি সময়ের মধ্যে ফজরের সময়ের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। পবিত্র কোরআনে ‘ফজর’ নামে একটি সূরাও রয়েছে। ওই সূরার শুরুতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘শপথ ফজরের।’ (সূরা: ফজর, আয়াত : ১)

হাদিসে ফজরের নামাজের বিশেষ তাগিদ রয়েছে। জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৭)

অন্য হাদিসে ফজরের নামাজ আদায়কারীকে জান্নাতি মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আবু মুসা আশয়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি শীতল সময়ে নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

নিম্নে ফজরের নামাজ পড়ার ১০টি পুরস্কার…

১. ফজরের নামাজে দাঁড়ানো, সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান। ‘যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়লো, সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়লো।’ (মুসলিম শরিফ)

২. ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।’ (মুসলিম)

৩. ফজরের নামায কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দিবে – ‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূর প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও।’ (আবু দাউদ)

৪. সরাসরি জান্নাত প্রাপ্তি – ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর দুই শীতল (নামাজ) হলো ফজর ও আসর।’ (বুখারী)

৫. রিজিকে বরকত আসবে – আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, সকাল বেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাঁধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বন্টন করা হয়।

৬. ফজরের নামাজ পড়লে, দুনিয়া আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে – ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরিমিযি)

৭. সরাসরি মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহর দরবারে নিজের নাম আলোচিত হবে – ‘তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফেরেশতারা আসে। তারা আসর ও ফজরের সময় একত্রিত হয়। যারা রাতের কর্তব্যে ছিল তারা ওপরে উঠে যায়। আল্লাহ তো সব জানেন, তবুও ফিরিশতাদেরকে প্রশ্ন করেন, আমার বান্দাদেরকে কেমন রেখে এলে? ফেরেশতারা বলে, আমরা তাদেরকে নামাজরত রেখে এসেছি। যখন গিয়েছিলাম, তখনো তারা নামাজরত ছিল।’ (বুখারি)

৮. ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু করলে, পুরো দিনের কার্যক্রমের একটা বরকতম সূচনা হবে। প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন- ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্যে, তার সকাল বেলায় বরকত দান করুন।’ (তিরমিযী)

ট্যাগস :

ফজরের নামাজের ফজিলত ও পুরস্কার

আপডেট সময় : ০২:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১

অনলাইন ডেস্ক:নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয। প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজেরই আল্লাহ তায়ালা বিশেষ কিছু ফজিলত দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম ফজরের সালাত।

নামাজ কায়েম করো সূর্য ঢলে পড়ার পর থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত এবং কায়েম করো ফজরের নামাজ। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজ উপস্থিতির সময়। (সূরা: বনি ইসরাঈল, আয়াত: ৭৮ (দ্বিতীয় পর্ব)।

নামাজের মধ্যে যেমন ফজরের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব, তেমনি সময়ের মধ্যে ফজরের সময়ের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। পবিত্র কোরআনে ‘ফজর’ নামে একটি সূরাও রয়েছে। ওই সূরার শুরুতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘শপথ ফজরের।’ (সূরা: ফজর, আয়াত : ১)

হাদিসে ফজরের নামাজের বিশেষ তাগিদ রয়েছে। জুনদুব ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৫৭)

অন্য হাদিসে ফজরের নামাজ আদায়কারীকে জান্নাতি মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আবু মুসা আশয়ারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুটি শীতল সময়ে নামাজ আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

নিম্নে ফজরের নামাজ পড়ার ১০টি পুরস্কার…

১. ফজরের নামাজে দাঁড়ানো, সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান। ‘যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়লো, সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়লো।’ (মুসলিম শরিফ)

২. ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।’ (মুসলিম)

৩. ফজরের নামায কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দিবে – ‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূর প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও।’ (আবু দাউদ)

৪. সরাসরি জান্নাত প্রাপ্তি – ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর দুই শীতল (নামাজ) হলো ফজর ও আসর।’ (বুখারী)

৫. রিজিকে বরকত আসবে – আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, সকাল বেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাঁধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বন্টন করা হয়।

৬. ফজরের নামাজ পড়লে, দুনিয়া আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে – ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরিমিযি)

৭. সরাসরি মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহর দরবারে নিজের নাম আলোচিত হবে – ‘তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফেরেশতারা আসে। তারা আসর ও ফজরের সময় একত্রিত হয়। যারা রাতের কর্তব্যে ছিল তারা ওপরে উঠে যায়। আল্লাহ তো সব জানেন, তবুও ফিরিশতাদেরকে প্রশ্ন করেন, আমার বান্দাদেরকে কেমন রেখে এলে? ফেরেশতারা বলে, আমরা তাদেরকে নামাজরত রেখে এসেছি। যখন গিয়েছিলাম, তখনো তারা নামাজরত ছিল।’ (বুখারি)

৮. ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু করলে, পুরো দিনের কার্যক্রমের একটা বরকতম সূচনা হবে। প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন- ‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্যে, তার সকাল বেলায় বরকত দান করুন।’ (তিরমিযী)