জামালপুরের বকশীগঞ্জে ধর্ষকদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি গীর্জার ছাগল । ৩ ধর্ষকের যৌন ক্ষুধায় শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নিস্পাপ প্রাণীটি । ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয়রা চলাচ্ছে তদবির ।
স্থানীয়রা জানান, জামালপুর জেলার লাউচাপড়া এলাকার দিঘলকোনায় অবস্থিত খ্রীষ্টান মিশনারীর (গীর্জা) একটি ছাগল ঘাষ খেতে পাহাড়ে যায় । এ সময় লাউচাপড়া এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে ইমরান (১৮) একই এলাকায় নওশেদ আলীর ছেলে উকন (১৬) ও আসমত আলীর ছেলে ইয়াসিন (১২) সবাই মিলে ছাগলটিকে ধরে বলৎকার করে । এ সময় ছাগলটি যেন কোন ধরনের শব্দ করতে না পেরে চোখ, নাক ও মুখ গামছা দিয়ে বেঁধ ফেলে । এক পর্যায়ে ছাগলটি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়।
নারী নির্যাতনের দায়ীদের শিগগিরই আইনের মুখোমুখি করবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ধানুয়া কামালপুরের ইউপি সদস্য নুর জাহান বেগম অঞ্জলী, গীর্জার পুরোহিত শেখর চার্লস পেরেরাসহ ধর্ষকরা পরিবার মিলে ছাগলের দাম ১০ হাজার টাকা নির্ধারন করে জরিমানা করা হয়েছে। পরে ছাগলটি পুতে ফেলা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নুর জাহান বেগম অঞ্জলী সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জা জনক। এলাকার ছেলেরা ভুল করে করে ফেলেছে, জনপ্রতিনিধি হিসাবে তিনি এটি মিমাংসা করেছেন।
এ বিষয়ে গীর্জার পুরোহিত শেখর চার্লস পেরেরা সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে চাননি।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট গনমাধ্যমকে বলেন ,বিষয়টি নিয়ে এখন কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিবেন।