ভারী শরীরে করোনার ঝুঁকি, জানুন কি করবেন
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে ভালো। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ওজন বাড়লে কিংবা নিয়ন্ত্রণে না থাকলেই মুশকিল। কারণ ওজন বাড়তে থাকলে কমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ফলে দেখা দেয়া নানা অসুখ। বাড়তি ওজন করোনা ভাইরাসের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি বাড়ায়। স্থুল কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে দেখা দিতে পারে নানা জটিলতা।
বাড়তি ওজন বা স্থুলতার সঙ্গে যোগ রয়েছে আরও অনেক অসুখের। এই তালিকায় আছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ফুসফুসের অসুখ ইত্যাদি। তাই ওজন নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। করোনাভাইরাস মহামারি শিগগিরই বিদায় নেওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। মরণঘাতি এই শত্রুর সঙ্গে লড়াই করেই আমাদের টিকে থাকতে হবে। তাই জেনে নিন এমন ৫টি কাজ সম্পর্কে যা আপনাকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে-
খুব সকালে ঘুম থেকে উঠুন
নিজেকে সুস্থ রাখতে চাইলে খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। সকালের রোদ গায়ে মাখাতে পারলে সবচেয়ে ভালো। কারণ এতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। এই ভিটামিন হাড়ের গঠনের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভালো উৎস হলো সূর্যের আলো। সকালে অন্তত আধাঘণ্টা শরীরচর্চা করলেও মিলবে উপকার। এই অভ্যাস আপনাকে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে। শক্তিশালী হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
সুগার এবং কোলেস্টেরল মাত্রা নিয়ন্ত্রণ
যাদের আগে থেকেই হৃদরোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হলে জটিলতা বেশি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে ওঠা কঠিন হয়ে যায়। যদিও কোলেস্টেরল আমাদের শরীরের জন্য দরকারি কিন্তু এটি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই যেসব খাবার খারাপ কোলেস্টরল বাড়িয়ে দেয় সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। সেইসঙ্গে দূরে রাখতে হবে অতিরিক্ত তেল ও চিনি।
ওজন কমানোর চেষ্টা করতে হবে
করোনায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে স্থুল ব্যক্তিরা বেশি সমস্যায় ভুগে থাকেন। কারণ স্থুলতা ডেকে আনে আরও অনেক অসুখ। সেসবের মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, অনিদ্রা, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার ইত্যাদি। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য তাই চেষ্টা করতে হবে। এর মানে কিন্তু না খেয়ে থাকা নয়; বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে পরিমিত ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন
মহামারির সময়ে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এখন অনেকরকম দুশ্চিন্তা সামনে চলে আসছে। তবে চেষ্টা করুন মানসিক চাপমুক্ত থাকার। কারণ আপনি যত বেশি চাপ নেবেন, ততই কমতে থাকবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই দুশ্চিন্তা দূরে রেখে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন। শিশু কিংবা পোষা প্রাণির সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। সম্ভব হলে প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটান। এতে দূর হবে মানসিক চাপ।
রাতে পরিপূর্ণ ঘুম
রাতের ঘুম যাতে পরিপূর্ণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। আগেভাগে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস করুন। এতে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারবেন। মন শান্ত থাকবে। কাজে ভালো মনোযোগ দিতে পারবেন। ঘুম ভালো হলে সারাদিন সতেজ অনুভব করবেন। শরীরের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। হজম প্রক্রিয়া সহজ থাকবে। নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজনও।