করোনা থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সবার এক সাথে লড়াই করা। আর তা না হলেই মহাবিপদ অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে। আগামী দিনে দ্বিগুণ হতে পারে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। এমনটি আশঙ্কা করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে এমনই সতর্কবার্তা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি বিভাগের কর্তা মাইক রায়ান।
মাইক রায়ান বলছেন, মহামারি করোনার প্রকোপে বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমরা যদি এখনই সম্মিলিত হয়ে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ না করি, তাহলে আগামী দিনে এই মৃতের সংখ্যাটা ২০ লাখে পৌঁছে যেতে পারে।
চীন করোনা ভাইরাসের বিপদ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করেছিল ঠিক ৯ মাস আগে। চীনের সতর্কতা বার্তা পাওয়ারও বেশ কিছুদিন পর ৩০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি সতর্কতা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে বহু ঢিলেমির অভিযোগ উঠেছে। আমেরিকা অভিযোগ করেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাফিলতির কারণে করোনা আজ মহামারির আকার নিয়েছে।
আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি করেছে, আমেরিকা-সহ বহু দেশ তাদের দেওয়া সতর্কবার্তাকে গুরুত্ব দেয়নি। কারণ যাই হোক, করোনা আজ বিশ্বব্যাপী ত্রাস সৃষ্টি করেছে। বিশ্বজুড়ে এর কবলে পড়েছেন ৩ কোটি ৩৪ লাখের ও বেশি মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষের।
আর পড়ুন :খালেদার উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার চাইলে আবেদনও করা হবে: মাহবুবউদ্দিন খোকন
ইতিহাসে আমি প্রথম যেখানে সবাই ধর্ষিতার ছবি দেখতে চাচ্ছে
ভাই আমার মা অসুস্থ, একটা টিকেট দিয়ে আমারে দেশে পাঠান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিপদ এখনও বাকি আছে। এই মহামারি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে, সেখানে সংক্রমণ কমছে। যেখানে মানা হচ্ছে না, সেখানে বাড়ছে। আমাদের এখন সম্মিলিতভাবে এই ভাইরাস রুখে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেটা যদি না করা যায় তাহলে বিপদ আসন্ন।
মাইক রায়ান শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল সভায় বলেন, ‘১০ লাখ সংখ্যাটা ভয়াবহ। এই মৃতের সংখ্যাটা আরও ১০ লাখ পূর্ণ হওয়ার দিকে পা বাড়ানোর আগে আমাদেরই ফিরে দেখা উচিত, এই মহামারি রুখতে আমরা কতটা কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছি। আমরা কি সত্যিই এই ভয়াবহতা এড়ানোর জন্য প্রস্তুত?’
আর যদি সত্যিই আমরা সম্মিলিতভাবে পদক্ষেপ করার প্রস্তুতি না নিয়ে থাকি, তাহলে মৃতের সংখ্যাটা অনেক অনেক বেশি হবে। ২০ লাখ হওয়ার সম্ভাবনাটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিগত ৯ মাসে আমরা ১০ লক্ষ মানুষকে হারিয়েছি। আগামী ৯ মাস ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা না করে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে সবাইকে তিনি আহ্বান জানান।