মঙ্গলে কখনো কোনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না তার খোঁজ চালাচ্ছে নাসার মহাকাশযান ল্যান্ডার রোভার পারসিভারেন্স। ইতিমধ্যেই লালগ্রহের মাটি ও পাথরের ছবি-ভিডিও পাঠাতে শুরু করেছে যানটি। আর আশ্চর্যজনকভাবে তুরস্কের একটি হ্রদের মাটি ও পাথরের সঙ্গে হুবহু মিল খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ নিয়েই গবেষক মহলে চলছে তোলপাড়। তা হলে কি সত্যিই মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল? বিজ্ঞানীরা অবশ্য তড়িঘড়ি কোনো মন্তব্য করতে নারাজ। এনিয়ে দীর্ঘ গবেষণার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তারা। বলেছেন, আগামী দু’বছর ধরে মঙ্গল গ্রহের বুকে ঘাঁটি গেড়ে গুরুত্বপূর্ণ সব নমুনা ও তথ্য সংগ্রহ করবে পারসিভারেন্স। আর সেসব বিশ্লেষণ করেই জানার চেষ্টা হবে, আদৌ মঙ্গলে কোনো দিন প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না।
লালগ্রহের বিষুব অঞ্চল জেজেরোর একটি গহ্বরে নামানো হয়েছে নাসার মহাকাশযানটিকে। সেখান থেকে কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ এসেছে বিজ্ঞানীদের হাতে। তা দেখে তাদের ধারণা, জেজেরোয় কয়েক শ’ কোটি বছর আগে বিশাল হ্রদ ছিল। সেই হ্রদে ছিল পানি। আর পানি থাকলে জীবন থাকার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, জেজেরোর ব-দ্বীপের মতো অংশের দু’কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবতরণ করেছে পারসিভারেন্স। এই অঞ্চলে বিভিন্ন পাথর রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাটিপাথর ও কার্বোনেটস। বিজ্ঞানীদের দাবি, এ ধরনের পাথর অণুজীবের অস্তিত্ব সংরক্ষণ করতে সক্ষম। ফলে অতীতে কখনো যদি মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকে, তার ইঙ্গিত এই পাথরেই মিলবে।
আর ওই মাটি ও পাথরের ছবির সঙ্গে তুরস্কের সালদা হ্রদের মিল পাওয়া যাচ্ছে। হ্রদটি তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। বিজ্ঞানীদের দাবি, মঙ্গলের বুকে পারসিভারেন্স যেখানে অবতরণ করেছে, সেই জেজেরোর মাটি ও খনিজ এবং সালদা হ্রদের মাটি ও খনিজ অনেকটা একই ধরনের।