দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব খর্ব করতে মিয়ানমারকে কাছে টানছে ভারত। দেশটিতে বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে নরেন্দ্র মোদি প্রশাসন। রাখাইনে একটি গভীর সমুদ্রবন্দর করছে বেইজিং। যাকে টেক্কা দিতে, আগামী বছরই ভারতীয় অর্থায়নে শুরু হচ্ছে, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাখাইনের সিত্তি বন্দর প্রকল্পের কাজ। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীন-ভারত দ্বন্দ্বে মাঝখান থেকে মিয়ানমার তার অবস্থান আরও পোক্ত করে নিচ্ছে।
রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত মিয়ানমার নানাভাবে টালবাহানা করে আটকে রেখেছে প্রত্যাবাসন। এমনকি নভেম্বরের নির্বাচনেও ভোট দেয়ার সুযোগ নেই রাখাইনে থাকা অবশিষ্ট রোহিঙ্গাদের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যেই মিয়ানমার সফর করেছে ভারতীয় প্রতিনিধিদল। সফরে চূড়ান্ত হয়েছে, নেইপিদোতে নয়াদিল্লির আরও বড় ধরনের বিনিয়োগের বিষয়টি।
রাখাইনে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিত্তি বন্দর প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার ও ভারত। প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় প্রায় ৪৮ কোটি মার্কিন ডলার। দিল্লির কৌশলগত লক্ষ্য সিত্তি বন্দর ঘিরে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা নির্মাণ। ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছরের শুরুতেই যৌথ বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এর মাধ্যমে ভারত বঙ্গোপসাগর ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চীনা প্রভাব মোকাবিলার চেষ্টা চালাবে বলে প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে।
ধনকুবেরদের সম্পত্তি বেড়েছে ১০.২ ট্রিলিয়ন
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিত্তির ভ্রমণ দূরত্ব কমে যাবে প্রায় এক হাজার ৩২৮ কিলোমিটার। কলকাতার সঙ্গে ভারতের সেভেন সিস্টার্সের রাজ্যগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে। এ ছাড়া মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর যোগাযোগ আরও বাড়াতে চায় মোদি প্রশাসন।
দিল্লির সহায়তায় মহাসড়কসহ বেশ কয়েকটি অবকাঠামো প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও দুদেশের আলোচনা হয়েছে। ছয় বিলিয়ন ডলার খরচ করে মিয়ানমারে তেল শোধনাগার তৈরি করে দিচ্ছে ভারত।
ভারতের সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে ও পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রোববার ও সোমবার মিয়ানমার সফর করে। সফরে ভারতীয় কর্মকর্তারা স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি, সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।