সুস্থতা ও অসুস্থতা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। নবী-রাসুলরাও অসুস্থ হয়েছেন। অসুস্থতার সাথে ব্যাক্তির আনুগত্য ও নাফরমানির সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) বলেছেন, ‘মহান আল্লাহ যার মঙ্গল চান তাকে দুঃখ-কষ্টে ফেলেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫৬৪৫)
রোগের নিজস্ব কোনো শক্তি নেই। রোগ দেওয়ার মালিক যেমন একমাত্র আল্লাহ তেমনি সুস্থতা দানের মালিকও তিনি। বর্তমান বিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। আল্লাহ চাইলে খুব দ্রুতই সমূলে নিরাময়ের ওষুধ আবিষ্কারের পথ বাতলে দিবেন, ইনশাআল্লাহ।
তবে বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও এখনও বেশকিছু রোগের কার্যকরী চিকিৎসা আবিষ্কার হয় নাই। তবে সেখানে প্রতিকার নিয়ে এসেছে নামাজ। হার্ট এ্যাটাক, প্যারালাইসিস, ডায়াবেটিস, মেলিটাস ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে নামাজ। এসব রোগের কোন ঔষধ বা প্রেসক্রিপশন নেই।
হার্টের রোগীদের প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা উচিত, যেমনিভাবে তারা তাদের ডাক্তারদের নিকট খারাপ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অনুমতি লাভ করে থাকেন। নামাজ একটি উত্তম ইসলামী ব্যায়াম, যা মানুষকে সব সময় সতেজ রাখে, অলসতা এবং অবসাদগ্রস্ততাকে শরীরে বাড়তে দেয় না।
নামাজীর জন্য এটা একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যে, এটা একান্তই সামগ্রিক ব্যায়াম যার প্রভাব মানবের সকল অঙ্গগুলোতে পড়ে এবং সামগ্রিক মানব অঙ্গগুলোতে নড়াচড়া ও শক্তি সৃষ্টি হয় এবং স্বাস্থ্য অটুট থাকে। কিছু রোগ এরূপও আছে যেগুলো থেকে নামাজ চালু করার দ্বারা রক্ষা পাওয়া যায়, কেননা নামাজ আদায়ের মাধ্যমে দেহে এসব রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘কালিজিরার মধ্যে মৃত্যু ছাড়া অন্য সব রোগের আরোগ্য রয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস : ৫২৮৬)