ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo নিজের যোগ্যতায় আসতে হবে: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবর Logo শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল শুরু যেহেতু শিক্ষকগণ কেন্দ্রিয় শহীদাঙ্গনে জড়ো। Logo ঈশ্বরগঞ্জে হাত ধোয়ার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতামূলক র‍্যালি ও প্রদর্শনী Logo জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাংলাদেশ পুলিশ প্রত্যাহারের নির্দেশ Logo কারো কোনো ব্যথা নেই, শিক্ষকদের দাবি না মানায় চলছে টানা কর্মবিরতি Logo দশমিনা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইকবালের চতুর্থ জানাযা সম্পন্ন Logo শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সনেট Logo শাপলা না পাওয়ার প্রশ্নই আসে না: ময়মনসিংহে এনসিপির সারজিস আলম Logo অধ্যক্ষসহ ৫৫ জনের ভুয়া সনদ! বনপাড়া আদর্শ কলেজে নিয়োগ কেলেঙ্কারি ফাঁস Logo মিরপুরের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গভীরভাবে শোক প্রকাশ : তারেক রহমান

রংপুরের কাউনিয়ায় আমন চাষে কৃষকের সাফল্যের হাতছানি

Iftekhar Ahamed
  • আপডেট সময় : ০৪:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ১০৩৮ বার পড়া হয়েছে

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ কাউনিয়ায় চলতি আমন মৌসুমে চারা রোপণের পর ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। প্রকৃতির বৈরি আবহাওয়ার পরেও সম্পুরক সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছেন চাষিরা। কখনো প্রখর রোদ, আবার কখনো বৃষ্টিতে ভিজে ধান ক্ষেত পরিচর্যা করছেন কৃষক।

বিগত বছরগুলোতে আমন মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি আর বন্যার সাথে লড়াই করে আমন ধান চাষ করলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। মৌসুমের শুরুতে দেখা যায়নি বন্যার তেমন প্রভাব। চারা রোপণের পরপরই দফায় দফায় বৃষ্টি আর কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় রোপণ করা চারা দ্রুত বেড়ে ওঠেছে। সবুজে ছেয়ে গেছে ক্ষেত। ভাদ্রের তালপাকা গরম ও হাল্কা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে দিগন্ত জুড়ে সবুজের চাদরে ঢাকা ধান ক্ষেত। সারাদিন কৃষাণ-কৃষাণী আর কৃষি শ্রমিকের কর্মব্যস্ততায় মুখরিত ফসলের মাঠ। আর দিগন্ত জুড়ে সবুজের হাত সানির মাঝেই উঁকি দিচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন।

কৃষকদের স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত, খাদ্যে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। তাদের আন্তরিকতায় কৃষিতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। চলতি মৌসুমেও কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষা করছেন এলাকার কৃষকেরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড ৯৫০ হেক্টর, উফশি ১০৫০ ও দেশী জাতের ১০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও শ্রমিক নির্ভরতা কমাতে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রায় ১শ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। আধুনিক চাষ পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে ধান চাষের বিষয়ে কথা হয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সাথে। নিজপাড়া গ্রামের ধানচাষী শ্রী প্রহলাদ চন্দ্র বলেন, এবছর চারা রোপণের সময় পানির অভাবে আমরা সেচ দিয়ে চারা রোপণ করেছি। এখন অবশ্য দুএকদিন পরপর বৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষেতের অবস্থা আপাতত ভালোই দেখা যাচ্ছে।

গদাই গ্রামের কৃষক গফুর আলী,ঢুষমারা চরের কুষক কোব্বাত বলেন, চলতি আমন মৌসুমে কৃষি অফিস থেকে আমাদেরকে বিনামূল্যে সার ও স্বল্পমেয়াদী উচ্চফলনশীল হাইব্রিড এজেড এবং বিনা-১৭ জাতের ধানবীজ দিয়েছে। আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শ মত বীজ বপন ও রোপন করেছি। বর্তমানে ক্ষেতের চেহারা খুব ভালো। আশাকরি অন্যান্য বারের চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে কাউনিয়ায় ১১৩৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে অর্জন হয়েছে ১১৪৬০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এখন ক্ষেতের পরিচর্যা ও সার প্রয়োগে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ ও ক্ষেতের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে আমাদের সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষেতের বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করে ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
[irp]

রংপুরের কাউনিয়ায় আমন চাষে কৃষকের সাফল্যের হাতছানি

আপডেট সময় : ০৪:২৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ কাউনিয়ায় চলতি আমন মৌসুমে চারা রোপণের পর ক্ষেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। প্রকৃতির বৈরি আবহাওয়ার পরেও সম্পুরক সেচ দিয়ে আমন চারা রোপণ করেছেন চাষিরা। কখনো প্রখর রোদ, আবার কখনো বৃষ্টিতে ভিজে ধান ক্ষেত পরিচর্যা করছেন কৃষক।

বিগত বছরগুলোতে আমন মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি আর বন্যার সাথে লড়াই করে আমন ধান চাষ করলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। মৌসুমের শুরুতে দেখা যায়নি বন্যার তেমন প্রভাব। চারা রোপণের পরপরই দফায় দফায় বৃষ্টি আর কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় রোপণ করা চারা দ্রুত বেড়ে ওঠেছে। সবুজে ছেয়ে গেছে ক্ষেত। ভাদ্রের তালপাকা গরম ও হাল্কা হাওয়ায় দোল খাচ্ছে দিগন্ত জুড়ে সবুজের চাদরে ঢাকা ধান ক্ষেত। সারাদিন কৃষাণ-কৃষাণী আর কৃষি শ্রমিকের কর্মব্যস্ততায় মুখরিত ফসলের মাঠ। আর দিগন্ত জুড়ে সবুজের হাত সানির মাঝেই উঁকি দিচ্ছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন।

কৃষকদের স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে ক্ষুধামুক্ত, খাদ্যে স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার। এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ। তাদের আন্তরিকতায় কৃষিতে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। চলতি মৌসুমেও কৃষি বিভাগের পরামর্শে আধুনিক জাতের উচ্চ ফলনশীল ধান যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষা করছেন এলাকার কৃষকেরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে হাইব্রিড ৯৫০ হেক্টর, উফশি ১০৫০ ও দেশী জাতের ১০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও শ্রমিক নির্ভরতা কমাতে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রায় ১শ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। আধুনিক চাষ পদ্ধতি ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

সরেজমিনে ঘুরে ধান চাষের বিষয়ে কথা হয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকের সাথে। নিজপাড়া গ্রামের ধানচাষী শ্রী প্রহলাদ চন্দ্র বলেন, এবছর চারা রোপণের সময় পানির অভাবে আমরা সেচ দিয়ে চারা রোপণ করেছি। এখন অবশ্য দুএকদিন পরপর বৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষেতের অবস্থা আপাতত ভালোই দেখা যাচ্ছে।

গদাই গ্রামের কৃষক গফুর আলী,ঢুষমারা চরের কুষক কোব্বাত বলেন, চলতি আমন মৌসুমে কৃষি অফিস থেকে আমাদেরকে বিনামূল্যে সার ও স্বল্পমেয়াদী উচ্চফলনশীল হাইব্রিড এজেড এবং বিনা-১৭ জাতের ধানবীজ দিয়েছে। আমরা কৃষি অফিসের পরামর্শ মত বীজ বপন ও রোপন করেছি। বর্তমানে ক্ষেতের চেহারা খুব ভালো। আশাকরি অন্যান্য বারের চেয়ে অধিক ফসল ঘরে তুলতে পারবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে কাউনিয়ায় ১১৩৭৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে অর্জন হয়েছে ১১৪৬০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এখন ক্ষেতের পরিচর্যা ও সার প্রয়োগে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ ও ক্ষেতের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে আমাদের সকল উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ক্ষেতের বর্তমান অবস্থার কথা উল্লেখ করে ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে আশবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
[irp]