ঢাকা ০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে Logo দশমিনায় জেলেদের জিম্মি করে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি Logo বেনাপোলে কোটি টাকার বকেয়া আদায়ের দাবিতে আমদানিকারকের সংবাদ সম্মেলন Logo মানবতার আলোর পথে: লালন দর্শনের নতুন পাঠ Logo পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম : ড. ইউনূস

রংপুরে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

Doinik Astha
Doinik Astha
  • আপডেট সময় : ১০:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০২৬ বার পড়া হয়েছে

রিয়াজুল হক সাগর রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ রংপুরে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় বাবা মমিনুর ইসলামকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সেই সাথে তাকে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডও দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোঃ রোকনুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল। মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মান্দ্রাইন বাঁধের পাড় এলাকায় ওই কিশোরী (১৩) পরিবারসহ বসবাস করতো। তার বাবা-মা স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করতো।

দিনের বেলায় তার মা দোকানে বসার সুযোগে বাবা মমিনুর ইসলাম (৪৫) বাড়িতে নিজ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য নানা ভয়-ভীতি দেখায়। গত ২০১৭ সালের ১১ মার্চ সকালে বাড়িতে একা পেয়ে বাবা আবারও নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করে। ১২ মার্চ ওই কিশোরী পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। নগরীর শাপলা চত্ত্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক অটোরিক্সা চালক ওই কিশোরীকে দেখতে পেয়ে একটি খাবারের হোটেলে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন রাত ১১টায় ওই কিশোরীর মা মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে ওই কিশোরী তার মাকে সবকিছু খুলে বলে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ গঙ্গাচড়া থানায় স্বামী মমিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত মমিনুরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ডের রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি অ্যাড. জাহাঙ্গীর আল তুহিন বলেন, চুড়ান্ত রক্ষকের দায়িত্বে থাকা বাবা এখানে ভক্ষক হয়েছেন। বাবা তার মেয়ের উপর বিবেক গর্হিত কাজ করেছেন, যা কোন সভ্য সমাজের জন্য কাম্য নয়।

ট্যাগস :

রংপুরে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

আপডেট সময় : ১০:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

রিয়াজুল হক সাগর রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ রংপুরে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় বাবা মমিনুর ইসলামকে (৪৫) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সেই সাথে তাকে এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডও দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন টাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোঃ রোকনুজ্জামান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামী আদালতে উপস্থিত ছিল। মামলা সূত্রে জানা যায়, রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মান্দ্রাইন বাঁধের পাড় এলাকায় ওই কিশোরী (১৩) পরিবারসহ বসবাস করতো। তার বাবা-মা স্থানীয় বাজারে চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করতো।

দিনের বেলায় তার মা দোকানে বসার সুযোগে বাবা মমিনুর ইসলাম (৪৫) বাড়িতে নিজ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য নানা ভয়-ভীতি দেখায়। গত ২০১৭ সালের ১১ মার্চ সকালে বাড়িতে একা পেয়ে বাবা আবারও নিজ মেয়েকে ধর্ষণ করে। ১২ মার্চ ওই কিশোরী পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। নগরীর শাপলা চত্ত্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক অটোরিক্সা চালক ওই কিশোরীকে দেখতে পেয়ে একটি খাবারের হোটেলে রাখে। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিন রাত ১১টায় ওই কিশোরীর মা মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে ওই কিশোরী তার মাকে সবকিছু খুলে বলে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ১৩ মার্চ গঙ্গাচড়া থানায় স্বামী মমিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত মমিনুরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদন্ডের রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি অ্যাড. জাহাঙ্গীর আল তুহিন বলেন, চুড়ান্ত রক্ষকের দায়িত্বে থাকা বাবা এখানে ভক্ষক হয়েছেন। বাবা তার মেয়ের উপর বিবেক গর্হিত কাজ করেছেন, যা কোন সভ্য সমাজের জন্য কাম্য নয়।