ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম:
Logo কাঁঠালিয়ায় গণঅধিকার পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশির লিফলেট বিতরণ Logo পানছড়িতে জামায়াতের মাসিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত Logo ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপি নেতা সেলিম রেজার জনপ্রিয়তা বেড়েছে Logo কিশোরগঞ্জে সুপারি চুরি করতে গিয়ে গাছ ভেঙে চোরের মৃত্যু Logo মানবতার ডাক’-এর মহতী উদ্যোগ: মরণ ফাঁদ রাস্তায় ফেরালো জীবনের চলাচল Logo গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ জাতিসংঘ আদালতের Logo মাটিরাঙ্গায় গনধর্ষণের শিকার কিশোরী: আটক-২ Logo শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় পাহাড়ে কাজ করছে বিজিবি Logo ন্যায্য দাবি আদায়ে দীঘিনালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি Logo শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা হবে মোট ১৫ শতাংশ, দুই ধাপে দেওয়া হবে

রাজশাহী জেলা পরিষদ সিইও ফেনসিডিল ব্যবসায় জড়িত

News Editor
  • আপডেট সময় : ০৫:২৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১১৬৬ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী জেলা পরিষদ সিইও ফেনসিডিল ব্যবসায় জড়িত ।পাজেরো গাড়িতে করে ফেনসিডিল ব্যবসায় জড়িত ও পরিবহনের দায়ে রাজশাহী জেলা পরিষদ সিইও নির্বাহী কর্মকর্তা  মো. নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।

গতকাল ১৯/১২/২০২০ শনিবার বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্লাহ কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা নুরুজ্জামানকে থানায় না নিতে দিনভর চেষ্টা তদবির চালালেও মামলা শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

শনিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, ১৮/১২/২০২০ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মো. নুরুজ্জামানকে পাজেরো গাড়ি ড্রাইভ করা অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মহানন্দা ব্রিজের টোল প্লাজায় চেক পয়েন্টে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা আটক করেন। ওই সময় তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকা শিবগঞ্জ থেকে রাজশাহী ফিরছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।

রাজশাহী জেলা পরিষদ সিইও আটকের সময় পাজেরো গাড়িতে চালকের পাশের সিটে বসেছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আব্বাস বাজার গ্রামের ওহিদুজ্জামান লাজুক। তিনি পেশায় ওষুধের দোকানের কর্মচারী। তার পায়ের কাছে কোমল পানীয়র পাঁচটি বড় বোতলে ফেনসিডিল ছিল। নুরুজ্জামান নিজেকে সরকারের উপসচিব এবং লাজুককে তার বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেন।

উখিয়ায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে মদ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন!

অনেক খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাজুক কোনো ওষুধের দোকানের কর্মচারীও নন। তিনি একজন মাদক চোরাকারবারি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের মাদকসেবীদের বাসায় তিনি মাদকদ্রব্য সরবরাহ করতেন।

দিনমজুর থেকে কোটিপতি, আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ডিসি মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, মো. নুরুজ্জামানের গাড়িতে করে ফেনসিডিল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় নুরুজ্জামান ওই গাড়ি ড্রাইভ করছিলেন। আটকের পর তিনি নিজেকে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন।

রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, রাতে টেলিভিশনে মো. নুরুজ্জামানকে আটকের খবর দেখেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কেউ আমাকে কিছু জানাননি।

আরও পড়ুন

সামাজিক কর্মকান্ডে তারুণ্যের মডেল এডভোকেট মো: সারোয়ার হোসাইন লাভলু।

লায়ন এডভোকেট মো: সারোয়ার হোসাইন লাভলু। একজন দক্ষ সংগঠক, নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মী, প্রতিভাবান আইনজীবি অথবা নির্লোভ সাংবাদিকতা। যে বিশ্লেষণই তাকে বলা হোক না কেন, সর্বক্ষেত্রেই রয়েছে তার সমান পদচারণা।

জন্ম চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা পৌরসভার আমিরাবাদ এলাকায়। গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা লাভলু সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষের দুঃখ দূর্দশা দেখেছেন খুব কাছ থেকে। যেসব তার কিশোর মনকে নাড়া দিয়েছিল দারুণভাবে। তখন থেকেই সমাজসেবার পণ নিয়ে লক্ষ্য পাণে ছুটে চলা।
জড়িয়ে পড়েন নানা সামাজিক কর্মকান্ডে।

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ব্রত নিয়ে পড়াশুনা করেন আইনপেশায়। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কথা তুলে ধরতে শুরু করেন দৈনিক পত্রিকা সম্পাদনা-প্রকাশনার মত চ্যালেঞ্জিং কাজও। দেশের যুব সমাজকে কর্মমূখী ও দায়িত্বশীল করে গড়ে তুলতে গঠন করেন যুব সংগঠন। বিনামূল্যে রক্তদান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও দারিদ্র বিমোচনের মত মানবিক বহু সংগঠনের অগ্রপথিক হিসাবে কাজ করেন তিনি।

চির হাস্যোজ্জল তারুণ্যদীপ্ত এ মানুষটি গেল ১২ ডিসেম্বর সবেমাত্র পঁয়ত্রিশে পদার্পণ করেছেন। অথচ তার জন্মদিনটি চট্টগ্রাম শহর ও তার নিজ উপজেলা সীতাকুণ্ডে যেভাবে একযোগে উদযাপতি হল তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষতো বটে এত অধিক সংখ্যক সামাজিক সংগঠনকে এর আগে এ অঞ্চলে কোন তরুণের এমন জন্মদিন পালন করতে দেখা যায়নি। কিন্তু তাকে নিয়ে কেন এমন স্বতস্ফূর্ত আয়োজন..?? প্রশ্ন জাগে সবার মনে…!!!

বিষয়টি জানতে সেদিন (গত ১২ ডিসেম্বর) বিকালে কাজের ব্যস্ততার মাঝে ছুটে যাই সীতাকুণ্ড সমিতি ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে। চট্টগ্রাম শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে উদযাপিত অনুষ্ঠানটিতে টগবগে তরুণ থেকে বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিগণের সরব উপস্থিতি ছিল ঈর্ষণীয়। তাদের আলোচনায় ছিল সারোয়ার লাভলুর সামাজিক দায়বদ্ধতা, সংগঠনপ্রিয়তা ও দায়িত্বশীলতার কথা।

একই সাথে সীতাকুণ্ড পৌরসদরেও বিভিন্ন সামাজিক ও সীতাকুণ্ড অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে উদযাপিত হয় এডভোকেট সরোয়ার লাভলুর জন্মদিন। সেখানে উপস্থিত অতিথিদের আলোচনা ওঠে আসে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। যা বিশ্লেষন করলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে একজন তরুণ কিভাবে এত অল্পসময়ে সব বয়সী শ্রেণী পেশার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হতে পারেন। এমনকি বর্তমান প্রেক্ষাপটে সারোয়ার লাভলুর সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডগুলো অনুকরণীয় হতে পারেন সমাজের যে কোন মানুষের জন্য।

সারোয়ার লাভলু একাধারে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত “দিশারী যুব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্পাদক ও প্রকাশক চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত আইন আদালত ভিত্তিক একমাত্র “দৈনিক আইন আদালত প্রতিদিন”। ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সীতাকুণ্ড সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং এ্যাঞ্জেল। চেয়ারম্যান দুরন্ত-পথিক আদর্শ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড।

এছাড়াও তিনি আইন বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কমিটি, চট্টগ্রাম-সিলেট, বোর্ড অফ ট্রাস্টি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমরা চাটগাঁবাসী, আইন বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংবাদিক সোসাইটি-কেন্দ্রীয় কমিটি, জোনাল কো-অর্ডিনেটর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন, চীজ- রিপাবলিক, বাংলাদেশ রিজিওন, সভাপতি লয়ার ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন-চট্টগ্রাম, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য, আই.আই.ইউ.সি ল’ এ্যালামনাই এসোসিয়েশন।

একই সাথে সারোয়ার লাভলু সদস্য পদ অর্জন করেছেন দ্যা অনারেবল সোসাইটি অফ দ্যা লিঙ্কনস ইন লন্ডন, ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন, লন্ডন, আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন-ইউ.এস.এ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন-ঢাকা, সদস্য ,চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি-চট্টগ্রাম, আজীবন সদস্য চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতি-চট্টগ্রাম, ঢাকা কর আইনজীবী সমিতি-ঢাকা ও আমেরিকান অ্যালায়েন্স ফর সাউথ এশিয়ান লেবার (আসাল), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।

লিখেছেন: সুলাইমান মেহেদী হাসান.

 

 

রাজশাহী জেলা পরিষদ সিইও ফেনসিডিল ব্যবসায় জড়িত

আপডেট সময় : ০৫:২৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

রাজশাহী জেলা পরিষদ সিইও ফেনসিডিল ব্যবসায় জড়িত ।পাজেরো গাড়িতে করে ফেনসিডিল ব্যবসায় জড়িত ও পরিবহনের দায়ে রাজশাহী জেলা পরিষদ সিইও নির্বাহী কর্মকর্তা  মো. নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম মামলাটি দায়ের করেন।

গতকাল ১৯/১২/২০২০ শনিবার বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্লাহ কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা নুরুজ্জামানকে থানায় না নিতে দিনভর চেষ্টা তদবির চালালেও মামলা শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

শনিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, ১৮/১২/২০২০ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মো. নুরুজ্জামানকে পাজেরো গাড়ি ড্রাইভ করা অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের মহানন্দা ব্রিজের টোল প্লাজায় চেক পয়েন্টে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা আটক করেন। ওই সময় তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত এলাকা শিবগঞ্জ থেকে রাজশাহী ফিরছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।

রাজশাহী জেলা পরিষদ সিইও আটকের সময় পাজেরো গাড়িতে চালকের পাশের সিটে বসেছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আব্বাস বাজার গ্রামের ওহিদুজ্জামান লাজুক। তিনি পেশায় ওষুধের দোকানের কর্মচারী। তার পায়ের কাছে কোমল পানীয়র পাঁচটি বড় বোতলে ফেনসিডিল ছিল। নুরুজ্জামান নিজেকে সরকারের উপসচিব এবং লাজুককে তার বন্ধু হিসেবে পরিচয় দেন।

উখিয়ায় প্রতিবন্ধী ছেলেকে মদ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন!

অনেক খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাজুক কোনো ওষুধের দোকানের কর্মচারীও নন। তিনি একজন মাদক চোরাকারবারি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের মাদকসেবীদের বাসায় তিনি মাদকদ্রব্য সরবরাহ করতেন।

দিনমজুর থেকে কোটিপতি, আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ডিসি মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, মো. নুরুজ্জামানের গাড়িতে করে ফেনসিডিল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় নুরুজ্জামান ওই গাড়ি ড্রাইভ করছিলেন। আটকের পর তিনি নিজেকে রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন।

রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, রাতে টেলিভিশনে মো. নুরুজ্জামানকে আটকের খবর দেখেছি। এর চেয়ে বেশি কিছু আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে কেউ আমাকে কিছু জানাননি।

আরও পড়ুন

সামাজিক কর্মকান্ডে তারুণ্যের মডেল এডভোকেট মো: সারোয়ার হোসাইন লাভলু।

লায়ন এডভোকেট মো: সারোয়ার হোসাইন লাভলু। একজন দক্ষ সংগঠক, নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মী, প্রতিভাবান আইনজীবি অথবা নির্লোভ সাংবাদিকতা। যে বিশ্লেষণই তাকে বলা হোক না কেন, সর্বক্ষেত্রেই রয়েছে তার সমান পদচারণা।

জন্ম চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা পৌরসভার আমিরাবাদ এলাকায়। গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা লাভলু সমাজের নানা শ্রেণী পেশার মানুষের দুঃখ দূর্দশা দেখেছেন খুব কাছ থেকে। যেসব তার কিশোর মনকে নাড়া দিয়েছিল দারুণভাবে। তখন থেকেই সমাজসেবার পণ নিয়ে লক্ষ্য পাণে ছুটে চলা।
জড়িয়ে পড়েন নানা সামাজিক কর্মকান্ডে।

ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার ব্রত নিয়ে পড়াশুনা করেন আইনপেশায়। নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কথা তুলে ধরতে শুরু করেন দৈনিক পত্রিকা সম্পাদনা-প্রকাশনার মত চ্যালেঞ্জিং কাজও। দেশের যুব সমাজকে কর্মমূখী ও দায়িত্বশীল করে গড়ে তুলতে গঠন করেন যুব সংগঠন। বিনামূল্যে রক্তদান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও দারিদ্র বিমোচনের মত মানবিক বহু সংগঠনের অগ্রপথিক হিসাবে কাজ করেন তিনি।

চির হাস্যোজ্জল তারুণ্যদীপ্ত এ মানুষটি গেল ১২ ডিসেম্বর সবেমাত্র পঁয়ত্রিশে পদার্পণ করেছেন। অথচ তার জন্মদিনটি চট্টগ্রাম শহর ও তার নিজ উপজেলা সীতাকুণ্ডে যেভাবে একযোগে উদযাপতি হল তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। সমাজের সর্বশ্রেণীর মানুষতো বটে এত অধিক সংখ্যক সামাজিক সংগঠনকে এর আগে এ অঞ্চলে কোন তরুণের এমন জন্মদিন পালন করতে দেখা যায়নি। কিন্তু তাকে নিয়ে কেন এমন স্বতস্ফূর্ত আয়োজন..?? প্রশ্ন জাগে সবার মনে…!!!

বিষয়টি জানতে সেদিন (গত ১২ ডিসেম্বর) বিকালে কাজের ব্যস্ততার মাঝে ছুটে যাই সীতাকুণ্ড সমিতি ও চাইল্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে। চট্টগ্রাম শহরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে উদযাপিত অনুষ্ঠানটিতে টগবগে তরুণ থেকে বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তিগণের সরব উপস্থিতি ছিল ঈর্ষণীয়। তাদের আলোচনায় ছিল সারোয়ার লাভলুর সামাজিক দায়বদ্ধতা, সংগঠনপ্রিয়তা ও দায়িত্বশীলতার কথা।

একই সাথে সীতাকুণ্ড পৌরসদরেও বিভিন্ন সামাজিক ও সীতাকুণ্ড অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের উদ্যোগে উদযাপিত হয় এডভোকেট সরোয়ার লাভলুর জন্মদিন। সেখানে উপস্থিত অতিথিদের আলোচনা ওঠে আসে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। যা বিশ্লেষন করলে স্পষ্ট হয়ে ওঠে একজন তরুণ কিভাবে এত অল্পসময়ে সব বয়সী শ্রেণী পেশার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হতে পারেন। এমনকি বর্তমান প্রেক্ষাপটে সারোয়ার লাভলুর সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডগুলো অনুকরণীয় হতে পারেন সমাজের যে কোন মানুষের জন্য।

সারোয়ার লাভলু একাধারে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত “দিশারী যুব ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ” চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। সম্পাদক ও প্রকাশক চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত আইন আদালত ভিত্তিক একমাত্র “দৈনিক আইন আদালত প্রতিদিন”। ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সীতাকুণ্ড সমিতির আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং এ্যাঞ্জেল। চেয়ারম্যান দুরন্ত-পথিক আদর্শ সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড।

এছাড়াও তিনি আইন বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কমিটি, চট্টগ্রাম-সিলেট, বোর্ড অফ ট্রাস্টি ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমরা চাটগাঁবাসী, আইন বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ সম্মিলিত সাংবাদিক সোসাইটি-কেন্দ্রীয় কমিটি, জোনাল কো-অর্ডিনেটর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন, চীজ- রিপাবলিক, বাংলাদেশ রিজিওন, সভাপতি লয়ার ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন-চট্টগ্রাম, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য, আই.আই.ইউ.সি ল’ এ্যালামনাই এসোসিয়েশন।

একই সাথে সারোয়ার লাভলু সদস্য পদ অর্জন করেছেন দ্যা অনারেবল সোসাইটি অফ দ্যা লিঙ্কনস ইন লন্ডন, ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন, লন্ডন, আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশন-ইউ.এস.এ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন-ঢাকা, সদস্য ,চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি-চট্টগ্রাম, আজীবন সদস্য চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতি-চট্টগ্রাম, ঢাকা কর আইনজীবী সমিতি-ঢাকা ও আমেরিকান অ্যালায়েন্স ফর সাউথ এশিয়ান লেবার (আসাল), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।

লিখেছেন: সুলাইমান মেহেদী হাসান.