ম্যাচের প্রথম বলেই জোফরা আর্চার উইকেট তুলে নেন পৃথ্বী শ’ এর। মাত্র ২ রান দিয়ে প্রথম ওভার শেষ করেন তিনি। এরপর তৃতীয় ওভারে এসে আবারও তুলে নেন ৩ নাম্বারে নামা আজিঙ্কা রাহানের উইকেট। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পরে যায় দিল্লি। এরপর মাঠে নামেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়াস আইয়ার। তিনি এসে গুরুত্বপূর্ণ একটা পার্টনারশিপ করেন শিখার ধাওয়ানের সাথে।
২ জনে মিলে ৮৫ রানের পার্টনারশিপ করেন। শ্রেয়াস গোপালের বলে ফিরে যাওয়ার আগে ৩৩ বলে ৫৭ রানের এক মূল্যবান ইনিংস খেলেন শিখার ধাওয়ান। একটা সময় ১৮০-১৯০ রান হবে মনে হলেও ধাওয়ানের উইকেট যাওয়ার পর তাদের রান রান আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এল চেন্নাই
দ্রুত রান তুলতে গিয়ে ক্যাপ্টেন আউট হওয়ার পর আর বেশি রান না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ১৬১ রান করতে পারে তারা। ম্যাচে ৪ ওভারে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেয় জোফরা আর্চার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে রাজস্থান। ২ ওভার ৫ বলে দলের রান হয়ে যায় ৩৭। এরপর নর্টজির বলে আউট হওয়ার আগে ৯ বলে ২২ রান করে বাটলার। দ্রুতই স্মিথের উইকেট হারালে চাপে পরে রাজস্থান। এরপর সানজু স্যামসন আর বেন স্টোকস ৪৬ রানের পার্টনারশিপ করলেও তাদের রান সেরকম গতিতে না হলেও ম্যাচে এগিয়ে ছিল তারা। এরপর দ্রুত বেন স্টোকস আর স্যামসনের উইকেট গেলে চাপে পরে রাজস্থান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে শুধু উইকেটই হারিয়ে গেছে তারা। শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩৮ রান দরকার হলেও দিল্লির বোলারদের আঁটসাঁট বোলিং এর কল্যানে মাত্র ২৪ রান তুলতে পারে স্মিথের দল। শেষ পর্যন্ত তারা ১৩ রানে হেরে যায় ম্যাচ টি।
প্রথম ৫ বলে ১৬ রান দেয়া নর্টজি শেষ পর্যন্ত ৪ ওভার শেষে রান দেয় ৩৩ এবং তুলে নেয় ২ টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট যা তাকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরষ্কার পেতে সাহায্য করে।
এদিকে রাজস্থান কে হারিয়ে আবারও শীর্ষে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস। ৮ ম্যাচে এটি তাদের ৬ষ্ঠ জয়। ৭ ম্যাচে ৫ জয়ে ২য় অবস্থানে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিনান্স। সমান পয়েন্ট নিয়ে ৩ নাম্বারে আছে ব্যাঙ্গালোর। আজকে তাদের প্রতিপক্ষ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ম্যাচ টি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায়।