বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বিভিন্ন সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কক্সবাজারে দুই দিনের সফর শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত, কানাডিয়ান হাইকমিশনের মানবিক সহায়তা বিষয়ক প্রধান, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধিদল জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ। রোহিঙ্গাদের সমস্যা মিয়ানমারেরই, তাই মিয়ানমারকেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস হামলাকারীদের।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তাদানকারী জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়কারী ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের (আইএসসিজি) দেয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল শ্বসনতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণজনিত আইসোলেশন ও চিকিৎসাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন। ১৪টি চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রায় এক হাজার শয্যা রয়েছে যা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা উভয় জনগোষ্ঠীর কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা প্রদানে প্রস্তুত রয়েছে, সেইসঙ্গে রয়েছে কোভিড-১৯ পরীক্ষাকেন্দ্র।
আরও পড়ুনঃকক্সবাজারে একযোগে বদলি এক হাজার পুলিশ
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেন যে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাড়াদান এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীকে সমর্থনের ব্যাপারে তাদের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে।
শেষে প্রতিনিধিদলটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠী যে উদারতার নিদর্শন রেখেছেন তার প্রশংসা করে এবং স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জোর সংহতি প্রকাশ করেন। প্রতিনিধিদলটি আরও জানায়, এই সংকটের মূল কারণগুলো মোকাবিলা করতে হবে এবং এর সমাধান মিয়ানমারের কাছেই রয়েছে।
প্রতিনিধিদল মনে করে, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস হামলাকারী দুর্বৃত্তদের ধরে বিচারের মুখোমুখি করতে পারলে, রোহিঙ্গারা নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার আস্থা ফিরে পাবে।
প্রতিনিধিদলের কেউ কেউ অস্থায়ী শিক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করেন, যেগুলো কোভিড-১৯-এর কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। একটি প্রতিবেদনে এসেছে, শরণার্থীদের মধ্যে হতাশা, শিশুদের প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ এবং শিশুশ্রমের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিনিধিদলটি আরও বেশি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে শিক্ষাকেন্দ্রগুলো পর্যায়ক্রমে পুনরায় চালু করার ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গেছে।