লিজা ক্লিনিকে টাকার বিনিময়ে চলে অপরাধ মূলক কাজ
- আপডেট সময় : ১০:১১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
- / ১২৩৯ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোটারঃ
গর্ভের সন্তান নষ্ট। শারীরিক কোনো অসুস্থতার কারণে নয়, স্বামীর অনুমতি বিহীন বাবার বাড়ির অতিমাত্রায় চাপ প্রয়োগে এবরশন করার ফলে। বিষয়টি জানার পর অঝোরে চোখের পানি ফেলছেন ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই এবরশনে নষ্ট হওয়া সন্তানের পিতা আনিস (৩৫)।
আনিসের স্ত্রী জান্নাতুল (২৪) রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের আজিজ প্রামাণিকের মেয়ে। অপরদিকে জান্নাতুলের স্বামী (৩৫) একই উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের হরিনাডাঙ্গায়।
নিরাপদ মাতৃত্ব হচ্ছে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা, যাতে একজন নারী তাঁর নিজ সিদ্ধান্তে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর গর্ভ ও প্রসবসংক্রান্ত জটিলতা ও মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সব সেবা নিশ্চিতভাবে পেতে পারেন। কিন্তু স্বামীর বাড়ি নয় পিতার বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে এমন ঘটনা ঘটেছে। ধনী-গরিব নির্বিশেষে সমাজের সব স্তরের নারীই কখনো পিতার বাড়ি আবার কখনো শ্বশুরবাড়ির কার্যকলাপে এ সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, বিঘ্নিত হচ্ছে নিরাপদ মাতৃত্ব।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১০ মার্চ ২০২০ তারিখ সকালে জান্নাতুলকে পাংশার লিজা হেলথকেয়ারে ভর্তি করা হয়। এরপর স্বামীর অনুমতি না নিয়ে তার অজান্তেই জান্নাতুলের বাড়ির লোকজন জোরপূর্বক ভাবে তার এবরশন করান। উদ্দেশ্য ছিল একটাই বিয়ের দীর্ঘদিন পার হলেও জান্নাতুলের স্বামী তার পিতার বাড়ির লোকজনের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারছিল না। কিন্তু জান্নাতুল ও তার স্বামী আনিস দাম্পত্য জীবন ছিল সুখের। কিন্তু জান্নাতুলের পরিবারের লোকজন চাচ্ছিল জান্নাতুলকে ডিভোর্স পেপারের মাধ্যমে আনিসের কাছ থেকে আলাদা করতে। যে কারণেই এমন ঘটনার সূত্রপাত।
তবে কোনো হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে এবরশন করার রাইট নেই। তারপরও পাংশার লিজা হেলথকেয়ার অর্থের প্রলোভনে জান্নাতুলের স্বামীর অনুমতি বিহীন জান্নাতুলের এবরশন করানো হয়। এর আগেও লিজা হেলথকেয়ারের বিরুদ্ধে এধরণের কর্মকান্ড ঘটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে মালিক পক্ষের সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না দীপক কুন্ডু জানে তার সাথে কথা বলেন। তবে দীপক কুন্ডুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
জান্নাতুল ফেরদৌসের বাবা আজিজ প্রামাণিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় নিতে ফোন কেটেদেন।